ডেস্ক রিপোর্টার,৬জানুয়ারি।।
গোটা দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। করোনার তৃতীয় ঢেউ’র আঁচড় লেগেছে রাজ্যেও।গত ৪৮ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৯জন। গড়ে প্রতিদিন ১৬৪জনের অধিক আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। এই হিসাবে সংক্রমণ চলতে থাকলে রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
হঠাৎ করে করোনার তৃতীয় ঢেউ’র আস্ফালন বাড়লেও মানুষ এখনো সতর্ক হয়নি।। রাস্তা-ঘাট,অফিস-আদালত,স্কুল-কলেজ,হাট-বাজার সর্বত্রই অধিকাংশ মানুষ করোনা বিধিকে মান্যতা দিচ্ছে না।মানুষ ব্যবহার করছে না মাস্ক, মান্যতা করছে না দৈহিক দূরত্বের।কমছে সেনিটাইজারের ব্যবহার। অথচ চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, মানুষকে করোনা বিধি মেনে চলা উচিত।কিন্তু কার কথা কে শুনে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫জানুয়ারি রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো ৪৬জন।এদিনের মোট পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা ছিলো ২৮৪৭টি।তার মধ্যে আরটিপিসিআর টেস্ট ছিলো ১০১০টি এবং এন্টিজেন টেস্ট ছিলো ১৮৩৭টি।আক্রান্তের শতকরা হার ছিল ১.৬২শতাংশ। জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখলে দেখা যায়,এই সময়ে পশ্চিম জেলায় ২৬জন আক্রান্ত হয়েছে।বাদবাকি অন্য জেলাগুলি দুই অংকে পৌঁছতে পারেনি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য মোতাবেক বৃহস্পতিবারেই আক্রান্তের পরিমান তিনগুনের চেয়েও বেশি হয়ে যায়।এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৩। একই ভাবে বৃদ্ধি পায় আক্রান্তের হার। আক্রান্তের শতকরা হার ২.৭৫শতাংশ। পশ্চিম জেলাতে আক্রান্ত হয়ে যায় দ্বিগুন।অন্য দিকে উনকোটি জেলাতে আক্রান্তের সংখ্যা ২থেকে বেড়ে হয়ে যায় ১০।
এই সময়ে গোটা রাজ্যে পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা ছিলো ৩০১৭টি।আরটিপিসিআর টেস্ট হয়েছে ৫২৮১ এবং এন্টিজেন টেস্ট হয়েছে ২৪৮৯টি। চিকিৎসকরা বলছেন তৃতীয় ঢেউ-এ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত ভাবে।সংক্রমণের এই গতি বিপদের কারণ ডেকে আনতে পারে। মারাত্মক ভাবে সংক্রমণের বিস্তার ঘটতে পারে গোটা পশ্চিম জেলাতে।করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও করোনার সংক্রমণ পশ্চিম জেলাতে ছিলো বিপদ জনক অবস্থায়।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, সংক্রমণের গতি যদি বাড়তে থাকে তাহলে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করতে বাধ্য হবে প্রশাসন।তবে এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনো চিন্তা ভাবনা নেই।সংক্রমণের গতি অনুধাবন করে করোনা কারফু দেওয়া হতে পারে। আরো কঠোর হবে করোনার বিধি নিষেধ। আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে ২৩-র ভোট দামামা বাজিয়ে গেছেন।তার একদিন আগে রাজ্যে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদী সভায় প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে।একই ভাবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির রাজনৈতিক কর্মসূচিও বাড়বে।এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণের গতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *