কৈলাসহর ডেস্ক, ৫মে।।
কৈলাসহরে নিশি কুটম্বের ধারাবাহিক হামলাসর্বস্বান্ত মহকুমা গৃহস্থ থেকে ব্যবসায়ীরা।মুখ থুবড়ে পড়েছে গোটা মহকুমা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে রাস্তায় জনতা।চোরের উপদ্রবে নাভিশ্বাস কৈলাশহর মহকুমার লোকজনের। ধারাবাহিক ভাবে প্রতি রাতে কোথাও না কোথাও ঘটছে চুরির ঘটনা। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে শনিবার নেমে যায় রাস্তায়। করে পথ অবরোধ।টায়ার জ্বালিয়ে করে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
স্থানীয় পাইতুর বাজার এলাকায় সকল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রতি রাতে ঘটছে চুরির ঘটনা। বাজার গুলিতে ডিউটি করছে পুলিশ। আরো দোকানের পেছনের দিক দিয়ে চুরি করে সব নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল।
.শুক্রবার রাতে পাইতর বাজার এলাকায় অরুন কুমার দেব নামে এক ব্যক্তির মিষ্টির দোকানে হাত সাফাই করে চোরের দল। এর আগে অরুন দেবের দোকানে আরো তিনবার চুরি হয়েছে। কিন্তু পুলিশ চোর চক্রের পান্ডাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। বাজারে বিভিন্ন দোকানে নিয়ম করেই হানা দিয়ে থাকে চোর চক্র। কিন্তু অসহায় পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কৈলাশহর থানার বিশাল পুলিশ ও টিএসসার বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের কোনো রকমে বুঝিয়ে সুজিয়ে পুলিশ পথ অবরোধ প্রত্যাহার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কৈলাসহর থানার পুলিশ তেল খাওয়া মেশিনের মতো হয়ে উঠে। গোটা অঞ্চলে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার কালিপুরের এক বাড়ি থেকে অঞ্জন দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে এক বাড়িতে ভাড়া থাকতো।তার মূল বাড়ি চন্ডীপুর গ্রামে।
অঞ্জন নিজ গ্রামে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল ।এরপর গ্রামবাসীরা অঞ্জন দাসকে উত্তম মধ্যম দিয়ে চন্ডীপুর গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছিলো ।পুলিশ ধৃত অঞ্জন থেকে নগদ কিছু টাকা সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে । চুরি কান্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা, লোহার রডও উদ্ধার করা হয়।কৈলাসহর থানার পুলিশ অঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে একটি মামলা( ৪৩/২০২৪) রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তার সঙ্গে আর কে কে আছে গোটা গ্যাংয়ে।বেশ কয়েকদিন ধরে পাইতুরবাজার এলাকায় চুরিকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর কৈলাসহর পুলিশের সাফল্যে খুশি শহরের মানুষ।