ডেস্ক রিপোর্টার,২৬জানুয়ারি।।
     ভোটের মুখে ঊষা বাজারে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়েছিলো বিমান দাস। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল,দুইটি ম্যাগজিন ও ৪৬রাউন্ড তাজা কার্তুজ।দুইটি গাড়ি। তবে বিমানের সঙ্গে থাকা রাজু বর্মন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
   বিমান – রাজুরা দাগি অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই।তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় আরো মামলা ঝুলছে।রাজধানীর নতুন নগর গুলি কান্ডের মূল অভিযুক্ত তারা।কিন্তু নতুন নগর গুলি কাণ্ডের মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।আসলে তা নয়, পুলিশকে গ্রেপ্তার করতে দেওয়া হয় নি।কারণ তাদের হাত অনেক লম্বা।তারা আছে বট বৃক্ষের ছত্র ছায়ায়।এখন প্রশ্ন হলো  ভোটের মুখে অস্ত্র সহ ধৃত বিমান দাস ও পালিয়ে যাওয়া রাজু বর্মনের দহরম মহরম কাদের সঙ্গে?


এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন বিমান দাস, রাজু বর্মনদের দহরম মহরম কাদের সঙ্গে? ছবিতে স্পস্ট, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ ও বড়জলা কেন্দ্রের বিধায়ক দিলীপ দাসের মধুর সম্পর্ক সমাজদ্রোহী বিমান ও রাজুর সঙ্গে।
  এখানে এই সম্পর্কের বিষয় নিয়ে বেশি শব্দ খরচ করে লাভ নেই।কারণ কথা বলছে ছবিই। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন না মন্ত্রী রতন লাল নাথ ও বিধায়ক দিলীপ দাস। ছি ছি:। এতটা নিচে নামতে পারেন মন্ত্রী – বিধায়ক।
     


এবার কাউর মনে  আর কোনো সংশয় থাকবে না। মন্ত্রী রতন লাল নাথ ও বিধায়ক দিলীপ দাসও এই ছবির প্রেক্ষিতে যুক্তি খাড়া করবেন।এটাও আমরা আগাম বলে দিচ্ছি। এনারা বলবেন, তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয়। কত মানুষ আসে তাদের পাশে।ছবিও তুলে। সেই সব লোকজন অপরাধ করে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে মন্ত্রী – বিধায়কের কি আসে যায়।ঠিক,কিন্তু তাই পুলিশের তালিকা ভুক্ত অপরাধীদের সম্পর্কে জানা নেই রাজ্যের  আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথের। এটা অবশ্যই মন্ত্রীর ব্যর্থতা। একই অবস্থা স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ দাসেরও? তিনিও জানেন না নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে কারা অপরাধ সংঘটিত করছে। নিশ্চয় জানেন। তা প্রমাণ করে পিস্তল সহ গ্রেপ্তার হওয়া বিমান দাসের সঙ্গে বিধায়কের ক্লোজ ছবি। তা থেকে স্পষ্ট হয় সম্পর্কের গভীরতাও।


গত কয়েক মাস আগে সন্ধ্যা রাতে রাজধানীর নতুন নগরে দুই যুবককে গুলি বিদ্ধ করা হয়েছিল।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলো রাজু ও বিমান।কিন্তু  পুলিশ  তাদের কেশাঘ্র স্পর্শ করতে পারেনি। অভিযোগ ছিল রাজু বর্মন ও বিমান দাস  অস্ত্র হাতে নিয়ে ঊষা বাজারে সিপিডব্লিউডির  নিগোসিয়েশনের রিমোট কন্ট্রোল পরিচালনা করতো। অভিযোগ এই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের কাট মানিও পৌঁছে যেতো তাদের রাজনৈতিক গড ফাদারদের কাছে।

নতুন নগরে গুলি বিদ্ধ দুই যুবক।(ফাইল ছবি)

এই কারণেই গত বছর দুয়েক আগে বড়জলা কেন্দ্রের বিধায়ক দিলীপ দাস নিগোসিয়েশন বানিজ্য নিয়ে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় শাওয়াল করেছিলেন। তিনি বুঝানোর চেষ্টা করেছিলেন নিগোসিয়েশন ব্যবসায় অবৈধ বলে কিছু নেই।



বিজেপির কর্মীরা বলছেন, রাজনৈতিক গড ফাদারদের আস্কারা পেয়ে রাজু, বিমানরা ঊষা বাজারে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। আর এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল জনমনে। ভোটের মুখে এটা হারে হারে টের পাচ্ছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। বড়জলায় এখন বিজেপির নড়বড়ে অবস্থা। তার জন্য স্থানীয় লোকজন অবশ্যই দায়ী করছেন বিধায়ক স্যার,চিকিৎসক দিলীপ দাসকে। তবে তিনি ২৩- র ভোটে টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দীলিপ দাসকে পুনারায় টিকিট দিলে বড়জলা বিজেপির হাত ছাড়া হাওয়ার সম্ভবনা থাকবে। প্রয়োজন নতুন মুখের। তাই বলে তিনিও ছারবার পাত্র নন।এই জন্যই খোদ দলকে আগেই সামাজিক যোগাযোগ  হুমকির বার্তা দিয়েছেন বিধায়ক দিলীপ দাস।

পলাতক রাজু বর্মন ও ধৃত বিমান দাস

শেষ পর্যন্ত ২৩ – র ভোটের আগেই পরিষ্কার হয়ে গেলো ঊষা বাজার এলাকার দাগি সমাজদ্রোহীদের আশ্রয় দাতা কারা? “ঠাকুর ঘরে কে রে,আমি কলা খাইছি না।” এই অবস্থা এখন আইন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের দুই বিশেষজ্ঞের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *