ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ জানুয়ারি।।
            তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে  বলেছিলেন, আগরতলা এয়ারপোর্ট কেন নেতাজির নামে হবে? প্রদ্যুৎ কিশোরের প্রশ্ন ছিলো  ত্রিপুরার জন্য নেতাজির কি ভূমিকা আছে?
      ২০১৯ সালে  অসমের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন রীতি মতো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে হেয় করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। প্রদ্যুৎ তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে বাঙ্গালী বিদ্বেষী হিসাবে আত্ন প্রকাশ করেন। তৎকালীন সময়ের এই সাক্ষাৎকার আগাগোড়া ছিলো বাঙালি বিরোধী।
         দেশের আরো দুই লিজেন্ড বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু ও সূর্য্য সেনকেও অপমানিত করেছেন প্রদ্যুৎ।
   রাজনীতিকরা বলছেন, প্রদ্যুৎ শুধু বাঙালিদের আঘাত করছেন না।প্রতারণা করছেন তার জাতির সঙ্গেও।এক সময় জনজাতিদের মধ্যে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য বাঙালি বিদ্বেষী বক্তব্যের ফুলঝুরি দেখা যায় প্রদ্যুতের কণ্ঠে।আবার ভোটের বাজারে বাঙ্গালী ভোট পাওয়ার জন্য নেতাজির গুন কীর্তনও করেন।এটা প্রদ্যুৎ কিশোরের মস্ত বড় জুমলা।
          ২৩র নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতির প্রদ্যুৎ কিশোরের জন্য খুব গুরুত্ব পূর্ণ। বাঙালি ভোট না পেলে প্রদ্যুৎ ১০টির বেশি আসনে জয়ী হতে পারবেন না।এটা বিলক্ষণ বুঝে গেছেন তিনি। তাই কায়দা করে এখন বাঙালি ভোট পাওয়ার জন্য ফের নেতাজীকেই হাতিয়ার করছেন।


এবছরের ২৩ শে জানুয়ারি ছিলো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিন ছিলো। এদিন প্রদ্যুৎ কিশোর তার ফেসবুকে একটি পুরনো ঐতিহাসিক ছবি পোস্ট করেন। এবং ইংরেজিতে লিখেন, “The letters of Netaji to Maharaja Bir Bikram and hand delivered by Sarat Chandra Bose are some of the unknown aspects of our History . Very few know that My grandfather had very good relation with the family”

প্রদ্যুৎ বলছেন , মহারাজা বীর বিক্রমকের কাছে নেতাজী  চিঠি  পাঠিয়েছিলেন। নেতাজির সেই চিঠি তার ভাই শরৎচন্দ্র বসু হাতে করে নিয়ে এসেছিলেন আগরতলায়।এই চিঠিতে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্যও রয়েছে। এবং অনেক কম লোক মহারাজা বীরবিক্রমের সঙ্গে  নেতাজীর পরিবারের এই সুসম্পর্কের কথা জানেন।



২০১৯ সালে প্রদ্যুৎ কিশোর এমন ভাব দেখিয়েছেন, তার কাছে নেতাজীর কোনো গুরুত্ব নেই। ত্রিপুরার সঙ্গে নেতাজীর কোনও সম্পর্কও নেই। আবার এই প্রদ্যুৎ কিশোরই ২০২৩ এর ভোটের মুখে  ঐতিহাসিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে বলেন, নেতাজীর পরিবারের সঙ্গে তার ঠাকুর দাদা মহরাজা বীর বিক্রমের সুসম্পর্ক ছিলো। আসলে সবটাই প্রদ্যুতের ভোটের খেলা। ভোট বাজার ধরতেই গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের নামে প্রদ্যুৎ বাঙালীর বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছেন জনজাতিদের।আবার বাঙালি ভোটের আশায় টেনে আনলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে। প্রকারন্তে জাতি – জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদের বিষ বাষ্প ঢেলে দিতে প্রদ্যুৎ যে কার্পণ্য করবেন না, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন রাজ্যের মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *