ডেস্ক রিপোর্টার,১লা জুলাই।।
তিপ্রামথা চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোরের আক্রমণের ফলার মুখে আইপিএফটি। বিশেষ করে এনসি গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুৎ কিশোরের একটি পোস্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিষয়টি। বলছেন রাজনীতিকরা।
যদিও প্রদ্যুৎ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টে সরাসরি এন সি গোষ্ঠীর নাম করেন নি। কিন্তু আকার ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু এন সি গোষ্ঠী, যারা বকলমে এই মুহূর্তে জাতীয় দল বিজেপির সঙ্গেই প্রায়ই মিশে গিয়েছে।
প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেন, গত কয়েক বছর আগে তিনি ছিলেন একটা জাতীয় দলে। তখন কিছু লোকজনের সমস্যা হচ্ছিল। প্রদ্যুতের কথায়, ” তখন তারা বলাবলি করতে শুরু করে আমি তিপ্রাসাদের সমর্থন করছি না। আমি বিশ্বাসঘাতকতা করছি তিপ্রাদের সঙ্গে।”
প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, “এখন পাল্টে গেছে পরিবেশ পরিস্থিতি। এই সমস্ত লোকজন এখন বকলমে একটি জাতীয় দলের অংশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি আছি তিপ্রাসাদের পাশে। এবং একটি আঞ্চলিক দলে।” প্রদ্যুৎ স্পষ্ট করেই দাবি করেছেন, তিনি তিপ্রাসাদের স্বার্থেই কাজ করবেন। তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।এনসি গোষ্ঠীকে কামান দাগিয়ে প্রত্যুৎ কিশোর বলেন, “একসময় আমি এই সমস্ত লোকজনের কাছে বুবাগ্রা ছিলাম। আর এখন তাদের কাছে আমার পরিচয় এমডিসি প্রদ্যুত।

রাজনীতিকরা বলছেন, আসলে তিপ্রাসা নেতারা যখন প্রদ্যুৎকে বুবাগ্রা বলে সম্বোধন না করেন,তখন প্রদ্যুৎ অপমান বোধ করেন। এটা প্রদ্যুৎ কিশোরের পোস্ট থেকেই পরিস্কার। রাজনীতিকদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে আইপিএফটি সাইনবোর্ড স্বর্বস্ব।কারণ তাদের কোনো সংগঠন নেই। নাম মাত্র পাহাড়ে ঝুলছে আইপিএফটির অস্পষ্ট নাম ফলক। ইতিমধ্যে আইপিএফটির মঙ্গল দেববর্মা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা আরএসএসর শিবির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।বাদবাকি কয়েকজন এনসি দেববর্মার হাত ধরে বিজেপিতে শামিল হওয়ার অপেক্ষায়।

এনসি নিজেও অঘোষিত ভাবে ডুবে আছেন পদ্ম বনে।দলের অপর নেতা মেবার কুমার জমাতিয়া তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আগামী ২রা জুলাই বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। পরিষ্কার করে বললে, এনসি গোষ্ঠী এখন বিজেপির খোলে প্রবেশ করে গেছে। তাই তারা এখন প্রদ্যুৎকে মহারাজা বলে সম্বোধন করে না।তাদের কাছে বুবাগ্রা এখন “এমডিসি প্রদ্যুৎ”। তা মেনে নিতে পারছেন না মথার চেয়ারম্যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *