ডেস্ক রিপোর্টার,২৭জানুয়ারি।।
                  “দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে আমরা আমাদের দাবি সনদ লিখিত ভাবে তুলে দিয়েছি। সরকার কবে আমাদের দাবি পূরণ করবে, এটা তাদের বিষয়। একমাস পরেও করতে পারে,আবার ছয় মাস পরেও করতে পারে।” বক্তা প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ত্রিপুরা মাথার নেতৃত্বের বৈঠক প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন তিনি।
                  প্রদ্যুৎ কিশোরের বক্তব্য, তিপ্রামথা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিল তাদের দাবি, সাংবিধানিক। এখন বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই মথার নেতৃত্বকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। এটা থেকে পরিষ্কার  তিপ্রামাথার দাবী কখনো অসাংবিধানিক ছিল না।
                  প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রামথা একাই লড়বে। কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করবে না। কারণ কোন দলই তার সঙ্গে গ্রেটার  তিপ্রাল্যাণ্ড ইস্যুতে লিখিত চুক্তি করেনি। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন ভোটে একা লড়াই করে নিজের শক্তির জানান দিতে চান প্রদ্যুৎ।  তিপ্রামথার চেয়ারম্যানের কথায় তিনি বিশ্বাসঘাতক নয়। কাজ করবেন জাতির স্বার্থে। জাতিকে কখনো ঠকাবেন না। প্রদ্যুৎ বলেন, তিনি আছেন সত্যের পথে ।তাই তাকে কেউ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। কারণ তার সঙ্গে ঈশ্বর আছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, “আপনারা এডিসি নির্বাচন দেখেছেন। আবার এখন দেখবেন বিধানসভা নির্বাচন। শেষে ২রা মার্চ পরিষ্কার চিত্র পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ প্রদ্যুৎ কিশোর তার বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ২রা মার্চ রাজ্য রাজনীতির শেষ কথা বলবেন তিনিই।
                  প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন ২০১৯ সালে অসমের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন,” এই রাজ্যের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাংলাদেশী। রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়ক আমলারাও বাংলাদেশী। তারা বহিরাগত। প্রদ্যুৎ কিশোর অবশ্যই তার সেই দিনের বক্তব্য আজকে ভুলে গিয়েছেন। তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,” আমি কখনো এই সমস্ত কথা বলিনি। আমি রাজ পরিবারের সদস্য। হিন্দু, মুসলিম বাঙালি প্রত্যেককে নিয়েই ত্রিপুরা। তিনি প্রসঙ্গ টেনে আনেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের। সেই সময় তার পিতা বিক্রম মানিক্য ৫০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।আর সেই সুবাদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিরীট বিক্রমকে  সম্মাননা জানিয়েছিলেন।প্রদ্যুৎ বলেন,আমি কখনো এই সমস্ত কথা বলিনি। বিপ্লব কুমার দেবকে বাংলাদেশী বলেছেন পাতাল কন্যা জমাতিয়া। তিনি এখন বিজেপির সহ-সভাপতি। কথা প্রসঙ্গক্রমে মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর টেনে আনেন সদ্য প্রয়াত হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী দেববর্মাকে। তিনি বলেন, এনসি দেববর্মা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের তৈরীর জন্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।তিনি এই  গোত্রের নন। প্রদ্যুৎ হলফ করে বলেন, “রাজনীতি দিয়ে কেরিয়ার তৈরি করা আমার কোন উদ্দেশ্য নয়।” আমি কাজ করি সাধারণ মানুষের জন্য। সুতরাং ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে জাতি- জনজাতি উভয় অংশের মানুষ থাকবে ত্রিপুরা মথার পাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *