ডেস্ক রিপোর্টা,১২জুলাই,
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর তরফে যখন ভারতের কোনও অঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উপহার আসে তখন তা শুধু উপহার থাকে না। তাতে মিশে থাকে কূটনীতি। সেই কূটনীতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত দশ গোল দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
বিপ্লব দেবকে বাংলাদেশের রঙপুর জেলার বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এসে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে হাঁড়ি ভাঙা আম তুলে দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা থেকে প্রায় ৩০০ কেজি আম এসেছিল আগরতলায়। বদলে ভারতীয় সংস্কৃতির ধারা মেনে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যের মাটিতে উৎপাদিত ৮০০ কেজি কুইন আনারস পাঠাল ত্রিপুরা সরকার। তার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোনেও ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।    
অন্যদিকে আগরতলায় আম আসার আগের দিনই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণ আম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাঠিয়েছিলেন হাসিনা। বদলে মমতা কেবল একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছিলেন, “এত আম একার পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি দু’হাত ভরে বিলিয়েছেন।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সম্পর্ক যেমন আত্মিক তেমন পশ্চিমবঙ্গেরও। কিন্তু কূটনৈতিক পদক্ষেপে বাংলাকে টেক্কা দিল ত্রিপুরা। অনেকের মতে, পশ্চিমবঙ্গেও মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলায় দুর্দান্ত আম হয়। যা বিদেশেও যায় প্রতিবছর। মমতা চাইলেই ফজলি, চিনচম্পার মতো বিরল সুস্বাদু আম পাঠাতে পারতেন ঢাকায়। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।তিনি কেবল চিঠি পাঠিয়েই ক্ষান্ত থেকেছেন।
এক বিজেপির নেতার মতে, “ভারতীয় সংস্কৃতিই হচ্ছে কেউ কিছু দিলে তাঁকে সৌজন্যের খাতিরেই কিছু দিতে হয়। একজন যা দিয়েছেন তার চেয়ে বেশিই পাঠানোটাই রেওয়াজ। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভারতীয় সংস্কৃতিকেই বহন করেছেন।কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভারতীয় সংস্কৃতিকে পা দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।আর এখানেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে মমতাকে পরাভূত করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *