ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ আগস্ট:
রাজ্যে এখন পর্যন্ত হাই-ভোল্টেজ নির্বাচন ২০১৮-র বিধানসভা ভোট।
টিআরপি’র দিক দিয়ে ১৮-র নির্বাচনই রাজনীতির লেখচিত্রের ঊর্ধ্বে। কিন্তু মনে হচ্ছে ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচন টিআরপি’র দিক দিয়ে টপকে যাবে ১৮-র নির্বাচনকে।
রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের আচমকা উত্থান এবং সিপিআইএম ও কংগ্রেসের ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সাহস অর্জন সাম্প্রতিক কালে রাজ্য রাজনীতির পরিমণ্ডলকে ঘোলাটে করে দিয়েছে।আর পাহাড়ে তো বসেই আছেন প্রদ্যুত কিশোর।রাজনীতির এই সমীকরণ বড় জটিল।বলছেন রাজনীতিকরা।

বিজেপির বর্তমান ঘরোয়া রাজনীতির কারণে প্রশ্ন উঠছে কে হবেন বিজেপির ২৩-র নির্বাচনের মুখ? কোনো ভাবনা চিন্তা না করেই বলা যায়,২৩-র নির্বাচনেও বিজেপির কান্ডারী হবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।তার আগাম আভাস দিয়ে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।গত কিছুদিন ধরে যে রে-রে রব উঠেছিলো তা এখন মাটিতে তলিয়ে গেছে। বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশের সভাপতি মানিক সাহা স্পস্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, ” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।”জলের মত পরিষ্কার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকেই ফের ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে মুখ করবে বিজেপি।
কেনোই বা করবে না? বিজেপিতে বিপ্লব কুমার দেব ব্যতীত আর কোনো মুখ নেই ভোট ময়দানে “কান্ডারী” ভূমিকা পালনের জন্য। বিপ্লবকে সামনে রেখেই চূড়ান্ত ভোটের মহারণে রণ কৌশল তৈরি করবে বিজেপি।তাঁর পাশে থাকবে সহযোগীরা।কারণ বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বেই ১৮-তে প্রায় আসাধ্যকে সাধন করেছে বিজেপি।তাতে অবশ্যই ছিলো নরেন্দ্র মোদির ফ্লেভারও।কিন্তু ১৮-র ভোটে রাজ্যে সামনে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিপ্লব কুমার দেবই।
প্রদেশ বিজেপির খবর অনুযায়ী, বিপ্লব দেবের নেতৃত্বেই ২০২৩-র মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে বিজেপি।অর্থাৎ ২৩-র বৈতরণী পাড় হলে ফের বিপ্লব কুমার দেবই হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিজেপি’র একাংশ কর্মী সমর্থক গেলো গেলো রব তুলে বাজার গরম করতে চাইছে।কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজবে না। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
নিন্দুকেরা বলছেন,বিপ্লব কুমার দেবের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে।কিন্তু চিত্র বলছে অন্য কথা। শুক্রবার উদয়পুরে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেখানে ছিলো কর্মী-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। কাসর-ঘন্টা ও শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চে স্বাগত জানায় দলের উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা। একই দিনে আগরতলা সহ বিভিন্ন জায়গাতে বিক্ষোভ সভা করেছিলো বিজেপি।বিক্ষোভ সভাতেও ছিলো প্রচুর লোকজন।তবে এটা বাস্তব কিছু কিছু কারণে রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া বইছে ঠিকেই,কিন্তু তার জন্য রে-রে ডাক শুরু হওয়ার কোনো কারণই নেই,বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *