ডেস্ক রিপোর্টার,১৬জানুয়ারি।।
রাজ্য জুড়ে এখন ভোটের আবহ। সর্বত্রই গনতন্ত্রের উৎসবের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তারকা প্রচারকরা রাজ্যে আসছে।তারা করছেন নিজ নিজ দলের নির্বাচনী প্রচার।পুলিশ ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে।তার মধ্যে চাপা পড়ে গেলো রাজধানীর নতুন নগরের চাঞ্চল্যকর গুলি কাণ্ড।
নতুন নগর গুলি কাণ্ডে দুই জন গুরুতর জখম হয়েছিলো।পুলিশ মোট চারজনকে দুই দফায় গ্রেফতার করেছিল।কিন্তু এই ঘটনার দুই মাস্টার মাইন্ড রাজু বর্মন এবং বিমান দাস আজও কোনো এক অজ্ঞাত কারনে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।কারণ তাদের পেছনে আছে রাজনৈতিক প্রভুদের হাত।এই কারণেই পুলিশও তাদের টিকির নাগাল পায়নি।কিন্তু তারা প্রকাশ্যেই ঘুরছে দিবালোকে। এলাকার মানুষ তাদের দেখে।অথচ পুলিশ তাদেরকে খোঁজে পায় না।অর্থাৎ রাজু বিমানের সঙ্গে চোর – পুলিশ খেলায় মেতে উঠেছে রাজধানীর খাকি উর্দি ওয়ালারা।
এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ভোটের দামামা।তার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নগর গুলি কাণ্ডও চাপা পড়ে গেছে।আরো পাঁচটি মামলার মতোই এটিও এখন পুলিশের খামে বন্দি হয়ে যাবে।আর কোনো দিন এই ঘটনা নিয়ে নাড়াচাড়া করবে না পুলিশ বাবুরা। অবশ্যই তাদের কি করার আছে।রাজনীতির বন্ধনীর মধ্যে যে তারাও আটকে আছে।তাই সন্ধ্যা রাতে রাজধানীতে গুলি বৃষ্টি করে আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে রাজু বিমানরা চলছে দিব্যি। তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করার দুঃসাহস নেই কাউর।
নতুন নগর গুলি কাণ্ডের পর রাজু বিমানরা সিপি ডাব্লিউ ডি অফিসে অস্ত্র হাতে নিয়ে একের পর এক নিগোসিয়েশন করেছে।এই সংক্রান্ত খবর ছিলো পুলিশের কাছেও।কিন্তু পুলিশের পক্ষে সাহস হয়নি তাদেরকে জালে তুলতে।বরং তারা যেদিকে থাকে পুলিশ সেই দিকে পাও মাড়ায় নি। রাজু – বিমনদের আসা যাওয়ার রাস্তা পুলিশ নিশব্দে পরিষ্কার করে দিয়েছিল।তবে গোটা ঘটনার পেছনে নাকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাজ করেছিলেন অনু ঘটকের মতো। তাই হয়তো বা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তথাকথিত এই জন প্রতিনিধির কপালে জুটবে না টিকিটও।