ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬জানুয়ারি।।
বিধানসভা নির্বাচন দৌঁড় গোড়ায়। ইতিমধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম রাজ্য পরিদর্শন করে গেছে। ভোটে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু ভোটের মুখেই রাজ্যে ঘটছে আগ্নেয়াস্ত্রের সম্ভার। বহি রাজ্য থেকে নিয়ম করেই রাজ্যে প্রবেশ করছে ধারালো অস্ত্র। কোন পথে? কারা অস্ত্র নিয়ে আসছে রাজ্যে।এই সমস্ত তথ্য পেয়েছে আসম পুলিশ।সম্প্রতি উত্তর পূর্বাঞ্চলে অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত রাজ্যের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। ধৃত ২ যুবক অসম পুলিশকে রাজ্যের অস্ত্র কারবারের অন্তরকথা উগলে দিয়েছে।
সম্প্রতি শিলচরের একটি বাস থেকে পুলিশ পিস্তল সহ তাজা বুলেট উদ্ধার করেছিল। এই ঘটনার পর তদন্তে নামে কাছার জেলার পুলিশ। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে এই সমস্ত অস্ত্র মজুত করেছে ত্রিপুরার দুই যুবক নরেশ চাকমা ও সঞ্জিত নমঃ৷
নরেশের বাড়ি গোমতী জেলার নতুন বাজারে, সঞ্জিত রাজধানীর লাগোয়া নাগিছড়ার বাসিন্দা৷ শিলচর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য রাজ্যে আসে। এবং দুই যুবককেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শিলচর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নরেশ ও সঞ্জীব জানা তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের সঙ্গে ত্রিপুরার আরো কয়েকজন রয়েছে। তাদের নামও পুলিশের কাছে খোলসা করেছে ধৃতরা।
শিলচর পুলিশকে ধৃত নরেশ ও সঞ্জীব জানিয়েছে প্রায়শই তারা রাজ্যের অস্ত্রের চালান নিয়ে আসে। এই অস্ত্র সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের পাচার করে। ত্রিপুরার সীমান্ত ছাড়াও অসমের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা অস্ত্রের চালান পাঠায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশী অস্ত্রের এজেন্টরাও ত্রিপুরা সহ অসমের বিভিন্ন জায়গাতে ঘাপটি মেরে থাকে। তারা অস্ত্র নিয়ে এপার থেকে ওপারে চলে যায়।এবং সেখানে চড়া দামে বিক্রি করে অস্ত্র।
রাজ্যের ধৃত দুই কারবারি পুলিশকে জানিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে তারা অস্ত্র চালানের বরাত পেয়েছে।এই আগ্নেয়াস্ত্র আনার জন্যই গিয়েছিল মিজোরামে।সেখান থেকে সড়ক পথে অস্ত্র নিয়ে আসার সময়, তারা টের পেয়ে যায়,পুলিশ তাদের পিছু করছে। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে আনা অস্ত্রের চালান বাসের মধ্যে ফেলে রেখে তারা গা ঢাকা দেয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ বাস থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।
ধৃত দুই যুবকের কথায়, রাজ্যের সোনামুড়া এলাকায় এই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এবং এই সমস্ত অস্ত্র ভোটের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার পরিকল্পনা ছিলো।কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে আটকে যায় এই আগ্নেয়াস্ত্র। শিলচর পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে রিপোর্ট জমা করেছে।তাই ভোটের মুখে রাজ্যে অস্ত্রের ঝনঝননি শুনে আতকে উঠছে সাধারণ মানুষ।