ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬জানুয়ারি।।
২৩- র নতুন সমীকরণের খেলা শুরু।দীর্ঘ দিনের ভেদ রেখা ছিন্ন করে এক মঞ্চে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। মেলারমাঠ লালবাড়িতে হলো সম্ভাব্য জোটের প্রথম বৈঠক।বিজেপিকে ঠেকাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এক মঞ্চে আসার বার্তা বাম – কংগ্রেস নেতৃত্বের।
রাজ্য রাজনীতির কয়েক যুগের শাসক – বিরোধী কংগ্রেস – সিপিআইএমএখন এক মঞ্চে। ১৮ – র নির্বাচনে হঠাৎ করে রাজ্য রাজনীতিতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো তৃতীয় বিকল্প ভারতীয় জনতা পার্টি।একে বারে শূন্য থেকে পৌঁছে যায় ক্ষমতার চূড়ায়। ক্ষমতা থেকে ছিটকে গিয়েছিল টানা ২৫বছরের বাম সরকার।এবং ২৫বছরের বিরোধী দল কংগ্রেসের ভোট চলে এসেছিল দেড় শতাংশে।
এখন ২৩- র মহাযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে।শাসকের চেয়ারে বিজেপি। ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে এক ফ্রেমে কংগ্রেস – সিপিআইএম।তারা সঙ্গে চাইছে পাহাড়ের শাসক দল আইপিএফটিকে। কমিউনিস্ট নেতা সীতারাম ইয়েচুরি,মানিক সরকার, জিতেন্দ্র চৌধুরী থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতৃত্বও চাইছেন প্রদ্যুৎ আসুক তাদের সঙ্গে।
কংগ্রেস – সিপিআইএম এক মঞ্চে এসে তিপ্রামথাকেও বার্তা দিলো।এদিন রাজ্য সিপিআইএমের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত জোটের প্রথম বৈঠকে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে পর্যবেক্ষক অজয় কুমার।সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য। মেলারমাঠ রাজ্য সিপিআইএম সদর দপ্তরে কমিউনিস্ট নেতারা তাদের সাদর আমন্ত্রণ জানান।
সিপিআইএম রাজ্য সদর দপ্তরে বৈঠকে প্রবেশের পথে কংগ্রেস পর্যবেক্ষক অজয় কুমার স্পষ্ট ভাবেই বলেন,শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতেক্যে এক মঞ্চে আসার জন্যই এই বৈঠক।
অজয় কুমার বলেন, ত্রিপুরায় মন্ত্রীর ছেলে ১৬বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।এবং পুলিশকে মামলা নিতে সময় লাগে সাত দিন।তাই ত্রিপুরাকে বাঁচানোর জন্য কংগ্রেস – সিপিআইএম সহ সমস্ত বিরোধীরা এক মঞ্চে আসতে চাইছে।
কংগ্রেস পর্যবেক্ষক অজয় কুমার বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই,শান্তি নেই।তাই মানুষের নতুন ত্রিপুরা গড়ার জন্য কংগ্রেস – সিপিআইএমের পাশে আসার বার্তা দিলেন।
তিপ্রামথা ইস্যুতে কংগ্রেস পর্যবেক্ষক অজয় কুমার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সীতারাম ইয়েচুরিও প্রদ্যুৎকে জোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কংগ্রেসও একই বার্তা দিচ্ছে।যদি না আসে,তাহলে লোকে বলবে বিজেপিকে সাহায্য করছে তিপ্রামথা।.
কংগ্রেস – বাম জোটের অন্যতম মুখ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি গনতন্ত্রের হত্যা লীলা চালিয়েছে। তা থেকে রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করার জন্যই কংগ্রেস – সিপিআই এমের এই বৈঠক।
২৩ র নির্বাচনে কংগ্রেস – সিপিআইএম নিশ্চিত ভাবে জোট হচ্ছে।তাদের সঙ্গে তিপ্রামথা চলে আসলে নিঃশব্দে হৃদ স্পন্দন বেড়ে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টির।আবার বিজেপিও চাইছে প্রদ্যুৎকে ধরে রাখতে।অর্থাৎ তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর এখন হয়ে উঠেছেন রাজনীতির ভর কেন্দ্র।