ডেস্ক রিপোর্টার,১১জানুয়ারি।।
“মাদক কারবারের সঙ্গে বিজেপি’র নেতারা জড়িত থাকলে,তাদেরকেও ছাড়া হবে না।আইন অনুযায়ী নেওয়া হবে ব্যবস্থা।” দলীয় নেতাদের ঠিক এই ভাষায় সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।সোমবার পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে একথা বলেছেন তিনি।
রাজধানীর এডিনগরস্থিত মনোরঞ্জন স্মৃতি স্টেডিয়ামে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, গোটা রাজ্যে ড্রাগস,ইয়াবা, ফেন্সিডিলের নাম যেন না থাকে তার জন্য কাজ করতে হবে পুলিশকে।প্রতিজ্ঞা নিতে হবে ড্রাগস মুক্ত ত্রিপুরার। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ বাধা প্রাপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাঁর গোচরে আনতে হবে।এক কথায় ড্রাগস নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
ড্রাগসের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিবি হাসপাতালে প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষায় দুই জনের শরীরে ‘এইচআইভি’ পজেটিভ ধরা পড়ছে। শহরের একটি কলেজেও নাকি এইডসের মারাত্মক আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ড্রাগসের অতি মাত্রায় ব্যবহারের ফলেই বাড়ছে ‘এইচআইভি’ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা।
ড্রাগস কারবারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি পুলিশ সপ্তাহ থেকে আগামী পুলিশ সপ্তাহ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত রক্তদান শিবির,রাষ্ট্রীয় একতা দিবস ও মোটর সাইকেল রেলি শীর্ষক ফটো গ্যালারি উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী তাঁর ভাষণে দাবি করেছেন, রাজ্যে এই প্রথমবার ৫০০ জন মহিলা কনস্টেবল নিয়োগ করা হচ্ছে। টিপিএসসি ছাড়াও প্রায় ২৮০০ পুলিশ কর্মী নিয়োগ করছে বিজেপি সরকার। পুলিশ হচ্ছে ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,পুরনো সরকারের সময় কোনো ব্যবস্থা ছিল না, ব্যবস্থা করার কোন মানসিকতাই ছিল না তাদের। বর্তমান সরকার এখন টিপিএসসির মাধ্যমে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যায় টিসিএস ও টিপিএস নিয়োগ করছে। এর ফলে আগামীদিনে পদন্নোতির ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা বিঘ্ন ঘটবে না।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকার গঠন হওয়ার পর তিনি পুলিশকে সবচেয়ে বেশী সময় দিয়েছেন। হেড কনস্টেবল থেকে ডিজি পর্যন্ত সবার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।জানার চেষ্টা করেছেন তাদের সুখ দুঃখের কথা।তিনি ত্রিপুরা পুলিশ কর্মীদের বুঝতে চেষ্টা করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশে বন্ধ ছিলো নতুন নিয়োগ।কিন্তু বিজেপি সরকার নতুন ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *