ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ মার্চ।।
নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার জারি হলো রাজ্য সভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি। মনোনয়ন পত্র জমা আগামী ২১মার্চ। সময় আর মাত্র সাতদিন।কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরার রাজ্যসভার আসনের প্রার্থী নিয়ে নিরুত্তাপ বিজেপির সদর দপ্তরে। ত্রিপুরার একটি আসনে এবারই প্রথম রাজ্য সভাতে ‘সাংসদ’ পাবে বিজেপি।রাজ্য বিধানসভার বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠ। বিরোধী সিপিআইএম প্রার্থী দিলেও সংখ্যা তত্ত্বের ভিত্তিতে বিজেপি’র জয় নিশ্চিত। তারপরও রাজ্য সভার প্রার্থী নিয়ে গুমোটে ভাব কেন প্রদেশ বিজেপিতে।
কৃষ্ণনগরের গেরুয়া বাড়ির খবর অনুযায়ী, রাজ্যে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী কাউকে বিজেপি রাজ্যে সভার প্রার্থী নাও করতে পারে।এই কারণেই এখন পর্যন্ত প্রার্থী নিয়ে কিছুটা নীরবতা পালন করছে শাসক দল। এই মুহূর্তে রাজ্য সভার প্রার্থী করার মতো কোনো নেতাও নেই।যারা আছেন তাদের মধ্যে এক-দুজনকে উপভোটে প্রার্থী করা হবে। তাই তাদেরকে রাজ্য সভায় পাঠানো হবে না। এই তালিকার বাইরে আরো দুয়েকজন রয়েছে।কিন্তু তাদেরকে নানান কারণে প্রার্থীর তালিকায় রাখা হচ্ছে না।তাহলে ত্রিপুরা থেকে বিজেপির কে হবেন রাজ্য সভার প্রার্থী? এই লক্ষ টাকার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রদেশ বিজেপি’র সদর দপ্তরের খবর মোতাবেক, বহিঃ রাজ্যের কোনো বিজেপি নেতাকেই প্রার্থী করা হবে।তালিকায় নাম রয়েছে প্রদেশ বিজেপি’র প্রাক্তন প্রভারী সুনীল দেওধরেরও। তালিকায় নাম রয়েছে কয়েকজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।যারা এই মুহূর্তে দলের সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যেও কাউকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। পুরো বিষয়টি এই মুহূর্তে গোপন রাখার চেষ্টা করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।তারা খুব শীঘ্রই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে “সারপ্রাইজ”দেবে রাজ্যের মানুষকে।
বিজেপি’র অন্য একটা সূত্রের খবর, আরএসএসের কোনো বরিষ্ঠ নেতাও ত্রিপুরার রাজ্য সভার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেন। এখন পর্যন্ত গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে।তবে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত করে নিয়েছে কাকে করা হবে রাজ্য সভার প্রার্থী? এখন শুধু ঘোষণার সময়ের অপেক্ষা। এটা প্রায় পরিষ্কার রাজ্যের কোনো স্থায়ী বাসিন্দা রাজ্য সভার প্রার্থী হচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি’র বিধায়ক রয়েছেন ৩৩জন।শরিক দল আইপিএফটির বিধায়ক রয়েছেন সাতজন। এবং আছে বৃষকেতু দেববর্মা।তিনি আইপিএফটি ত্যাগ করে তিপ্রামথাতে যোগ দিয়েছেন।ইস্তফা দিয়েছিলেন দল ও বিধায়ক পদ থেকে।কিন্তু পদত্যাগ পত্র বিধানসভায় গৃহীত হয়নি।সব মিলিয়ে বিজেপি’র পক্ষে ভোটার রয়েছে ৪১জন।বিরোধী দল সিপিআইএমের রয়েছে ১৫জন। স্বাভাবিক ভাবেই এই সংখ্যা তত্ত্বের হিসাবে ত্রিপুরাতে রাজ্য সভার একটি আসনে বিজেপি’র জয় নিশ্চিত। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১মার্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *