নাটক করছে তৃণমূল:নবেন্দু
ভয় পেয়েছে বিজেপি:আশীষ
মত প্রকাশে বাধা : বিজন
ডেস্ক রিপোর্ট,১১আগস্ট:
তৃনমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-পেক’র সদস্যদের গৃহবন্দীর ঘটনা কেন্দ্র করে রাজ্যে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃনমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী উদয়পুরে যাওয়ার সময় বিজেপি’র কর্মীরা তাঁর গাড়িতে আক্রমণ করেছিলো।সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছিলেন অভিষেক।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেছিলেন,তাঁর দেহরক্ষীদেরও মারধর করা হয়।তারা আহত হয়েছেন।
প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য অভিষেকের এই বক্তব্য নস্যাৎ করে দেন।একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে এনে নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন,”অভিষেকের কথা সম্পুর্ন মিথ্যা।তাঁর কোনো দেহরক্ষী আক্রান্ত হননি।কারণ উদয়পুর থেকে অভিষেক যখন আগরতলার একটি হোটেলে আসেন,তখন তাঁর সঙ্গেই ছিলো দেহরক্ষীরা। অভিষেক হোটেলে প্রবেশের সময় এই চিত্র ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।”
প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্রের বক্তব্য, অভিষেক নাটক শুরু করেছে ত্রিপুরায় এসে।একজন নাট্যকার স্ক্রিপ্ট লিখে দিচ্ছেন।আর স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ করছেন অভিষেক।কিন্তু পরিতাপের বিষয় মানুষ তৃনমূল নেতৃত্বের নাটক বুঝে গেছে।
নবেন্দু ভট্টাচার্য’র কথায়, বাংলা থেকে রাজ্যে আসা তৃণমূলের যুব ও ছাত্র নেতারাও নাট্যকারের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী নাটক করেছে।তৃণমূলের যুব নেতা সুদীপ রাহা অসুস্থতার ভান করে কলকাতায় চলে যান।ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে সুদীপ এয়ার পোর্ট থেকে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে গেছেন।কিন্তু তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।এই সময় একজন পুরোদস্তুর সুস্থ মানুষের মত সংবাদ মাধ্যমের লোকজনের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে সুদীপ।একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে তা কি কখনো সম্ভব? প্রশ্ন নবেন্দুর।পুরো ঘটনা একটা সাজানো নাটক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুদীপ রাহা নাটক করছেন তা বলে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট জায়গার সিসি ক্যামেরা।
নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, সিপিআইএম’র সঙ্গে মিলেই নাটক মঞ্চস্থ করছে তৃণমূল। পায়ের নিচে জমি নেই সিপিআইএম’র।তার তৃণমূলকে ভর করে বেঁচে থাকতে চাইছে সিপিআইএম। তবে তৃনমূল-সিপিআইএম’র এই নাটক মানুষ ধরে ফেলেছে।কোনো কাজ হবে না।
প্রদেশ তৃণমূল আশীষ সিংহের বক্তব্য, গোটা বিজেপি এখন ভয় পেয়ে গেছে।এই কারণেই বিজেপির মুখপত্র অবলতাবল কথা বলছেন। মানুষ এখন বিজেপির কথা শুনছে না।সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ছে তৃণমূলের প্রতি।
বিজেপি’র মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য’র বক্তব্যে প্রসঙ্গে রাজ্য বামফ্রন্টের আহবায়ক বিজন ধর বলেন,”পুরোটাই অবাস্তব কথাবার্তা।কোনো দলের মত প্রকাশের অধিকার ক্ষুন্ন করতে চাইলে,তা নিয়ে কথা বলেই সেই দলকে ইন্ধন দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়।রাজ্যে বিরোধীদের উপর হামলার ঘটনা প্রমান করে বিজেপির পায়ের নিচে জমি নেই।তাই বিভ্রান্ত হয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শুরু করেছে।
ঘুরিয়ে বললে বামফ্রন্ট আহবায়ক বুঝিয়ে দেন, বিরোধী যে কোনো দলকে মত প্রকাশে বাধা দিলে তারা গণতান্ত্রিক ভাবে তার প্রতিবাদ করবেই।এটাও বাস্তব সাম্প্রতিক কালে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা বিরোধীদের লাইম লাইটে এনে দিয়েছে খোদ রাজ্য প্রশাসনই,বলছেন রাজনীতিকরা।
ধান্ধাবাজ তৃনমূল।