ডেস্ক রিপোর্টার,১০আগস্ট:
বাংলার তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “ত্রিপুরাতে আসা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের জল পর্যন্ত দেয় নি পুলিশ।আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাও করানো হয়নি”।
তাতে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো দোষ নেই।বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দলের নেতা কর্মীরা ভুল তথ্য দিয়েছেন।কারণ ছবিতে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে,আমবাসাতে আক্রান্ত তৃণমূলের যুব নেতা সুদীপ রাহার চিকিৎসা চলছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।তার মাথা ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। পাশেই আছেই সুদীপের সতীর্থ জয়া দত্ত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে রাজ্যের মানুষের মধ্যেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একজন মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে একথা বলেন? সংশ্লিষ্ট মহলে উঠছে প্রশ্ন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন,থানাতে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের সামান্য জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।কিন্তু আগরতলার পশ্চিম থানায় আন্দোলনরত তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেত্রী জয়া দত্তকে জল দেওয়ার ছবিও কিন্তু ভাইরাল হয়ে গেছে।ছবিতে দেখা থানা পুলিশ জয়াকে জল দিয়েছে খাওয়ার জন্য,তাও থানার কাঁচের গ্লাস দিয়ে। সুদীপ-দেবাংশু ও জয়া সহ ১৩জন তৃনমূল কর্মী যখন খোয়াই থানায় ছিলেন,তখন সেখানে গিয়েছিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী।সুদীপ থানার মেঝেতে বসে ছিলো।তখনও থানার পুলিশ অসুস্থ সুদীপ রাহাকে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে জল দিয়েছিলো।
এই সমস্ত ছবি দেখিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বলছে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল তথ্য দিচ্ছেন।কিন্তু সচল ও স্থির ছবিই কথা বলে।ছবি মিথ্যা নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু রাজনীতি করার জন্য রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে বদনাম করেছেন। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য,আমবাসা হাসপাতালে সুদীপ রাহাকে সামনে এসে চিকিৎসকরা দেখে গিয়েছেন।কথা বলেছে তার সঙ্গে।তারপরও এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত রাজনীতিককে মিথ্যা কথা বলা কোনো ভাবেই মানায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *