ডেস্ক রিপোর্টার, ৩ফেব্রুয়ারি।।
বিজেপিতে এসেই পিক ফর্মে ফিরেছেন সুবল ভৌমিক!রাজধানীতে জন্ম নিয়েছে সুবলের নয়া সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটের মধ্যমণি ঠিকাদার গোষ্ঠী।এই চক্রই এখন সুবলের অর্থ রোজগারের উৎস।সুবলের নতুন সিন্ডিকেটের সব ঠিকাদারই “কমরেড”।অভিযোগ, খোদ কৃষ্ণনগর কুশাভাউ ভবনের আবাসিকদের।
রাজ্য রাজনীতির “সব বেজুনের হলদি” দল বদলু নেতা সুবল ভৌমিক।তিনি কালে কালেই দল পরিবর্তন করেছেন। তবে তা নিজের ব্যক্তি স্বার্থে।মানুষের জন্য নয়। কংগ্রেস থেকে গ্রামীণ কংগ্রেস।বিজেপি থেকে তৃনমূল। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সংসার করেছেন তিনি। রাজনীতির সব ঘাটের জল খেয়ে সুবল আবার বসেছেন পদ্মের কোলে। তার আগে অবশ্যই মমতার তৃণমূল সুবলকে সভাপতির পদ থেকে বের করে দিয়েছিলো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে। এই মুহূর্তে সুবল বিজেপিকে হাতিয়ার করে রাজনীতির বাণিজ্যিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। আর তাতে তিনি নাকি অনেকটাই সফল।কারণ, এখন সুবল ভৌমিকের রাজনৈতিক শ্বাস প্রশ্বাসের যোগান দিচ্ছেন বামদের গর্ভগৃহের কমরেড ঠিকাদাররাই।বলছেন, বিজেপির নিষ্ঠাবান কর্মীরা।
এখন ভারতীয় জনতা পার্টির অলিন্দের আলোচ্য বিষয় দল বদলু সুবল। কারণ সুবল ভৌমিক বাম ঘরানার লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে পুনরায় মাথা তুলে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা লোকজনের কাছে সুবলের গুরুত্ব শূন্যের কোটায়। তারা মোটেও সুবলকে আমল দিচ্ছে না। তাই বিজেপিতে আসা হার্ডকোর বামপন্থীদের সঙ্গে নিয়েই সুবল নিজের মার্কেটিং শুরু করেছেন।বিজেপির লোকজনের বক্তব্য, সুবল তার বাণিজ্যিক স্বার্থে কায়দা কৌশল করে রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার নাম ব্যবহার করছেন।রাজ্যের প্রথম সারির ঠিকাদারদের কাছে সুবল নিজেকে এমন ভাবে উপস্থাপন করছেন, তিনিই যেন মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক। তার নির্দেশেই যেন মুখ্যমন্ত্রী চলেন। বাস্তবে তা নয়। মুখ্যমন্ত্রী সুবলকে কোন গুরুত্বই দেন না। এবং তার কোনো কথা কানেই নেন না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতার বিষয়ের প্রচার বাণিজ্যিক মহলে সবটাই সুবলের শো-অফ।
বিজেপির কর্মীদের কথায়, এই মুহূর্তে সুবলের ডান হাত বাম ঠিকাদার স্বপন দে। তিনি বনমালী পুরের ভোটার। বাড়ি শহরের ঝুলন্ত ব্রিজ লাগোয়া। ঠিকাদার স্বপন দে মেলারমাঠের লাল বাড়ির ঘরের ছেলে। ১৮- র নির্বাচনের পর স্বপন তার বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে চলে এসেছিলেন বিজেপিতে। বনমালীপুরের বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, ২৩- র নির্বাচনে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে হারানোর জন্য ঠিকাদার স্বপন দে অতিরিক্ত খাটা খাটুনি করেছিলেন।
ব্যায় করেছিলেন অর্থ।তখন অভিযোগের তির উঠেছিল প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি দীপক করের বিরুদ্ধেও। স্বপন দে, দীপকরা হরিহর আত্মা। আর এই ঠিকাদার গোষ্ঠীকে নিয়েই সুবল নতুন বাণিজ্যের ফাঁদ পেতেছেন।সামনে দেদার বিক্রি করছেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও। সুবল ভৌমিকের এই নতুন বাণিজ্য নিয়ে সম্পূর্ন ঘুমে খোদ নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাও।বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপির অন্দরে সুবল ভৌমিক এখন দুই নৌকায় পা দিয়ে রেখেছেন।একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যাক ডোরে তিনি হিসহিস করছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী লবির নেতাদের সঙ্গেও। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর গ্রুপের সমস্ত গোপন তথ্যও নাকি সুবল ফাঁস করছেন বিপক্ষ শিবিরে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট লোকজন এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না সুবল ভৌমিকেও।তাদের মধ্যে দল বদলু সুবলকে নিয়ে বিরাজ করছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ।