ডেস্ক রিপোর্টার,১ফেব্রুয়ারি।।
কেন্দ্রের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে জনহিতকর, জনকল্যাণমুখী, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গড়ার এবং আগামী ২৫ বছরের দিক নির্দেশকারী বাজেট বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার কেন্দ্রের ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেছেন।
কোভিড পরিস্থিতিতে পেপারলেস এবং ডিজিটাল, ঐতিহাসিক বাজেট পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বাজেটে উত্তর পূর্ব ভারতের জন্য ১,৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ বছর দেশের নাগরিকের ভবিষ্যৎ এই বাজেটের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,পিএম কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পের মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়কমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল ক্রয় করার সংস্থান এই বাজেটে রয়েছে। এরজন্য ২ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে বাজেটে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এবারকার বাজেটে দেশের ৮০ লক্ষ পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। জল জীবন মিশন প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে বাজেটে। ২০২৩ অর্থবছরে ২৫ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক প্রসারিত করা হবে। এর সুফল ত্রিপুরাও পাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প পিএম গতিশক্তির মাধ্যমে ১৬টি দপ্তরকে নিয়ে সরাসরি মনিটরিং করার সংস্থান রয়েছে এই বাজেটে। আগামী তিন বছরে ৪০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হবে। সারা দেশের ২ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়িকে আরও উন্নতিকরণ করা হবে। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে রোজগারের সৃষ্টি করা হবে। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এই বাজেটে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের কথা চিন্তা করে ন্যাচারাল ফার্মিংয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় আরও ১ কোটি মহিলাদের নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট চালু করা হবে। তিনি বলেন, এই বাজেটে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য ড্রোন পদ্ধতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে ড্রোন তৈরির জন্য স্টার্ট আপ ইন্ডিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ফল, সব্জি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্থান রয়েছে এই বাজেটে। প্রতিরক্ষা খাতেও বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে বাজেটে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরিতে ভারতীয় নিজস্ব কোম্পানিগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আরবিআই-র অধীনে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করা হবে। দিব্যাঙ্গদের জন্য কর ছাড় প্রদান করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই বাজেটকে একটি সমৃদ্ধশালী এবং নাগরিক কেন্দ্রিক বাজেট বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *