ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ জুলাই।।
ধর্মনগর থেকে সাব্রুম চলছে রগরগে তোলা বানিজ্য।তোলা বাণিজ্যের কুশীলবরা সবাই শাসক দলীয়।তোলাবাজদের সিংহ ভাগ বিজেপির নেতৃত্ব স্থানীয়।নেতাদের তোলাবাজি নিয়ে নিয়মিত খবর সম্প্রচারিত হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমে।তোলাবাজদের বিরুদ্ধে নীরব কেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির প্রদেশ সভাপতি?প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের আম জনতা।
নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রনজয় দেব।
২০১৮ সালে বামেদের দীর্ঘ ২৫বছরের মসনদ উল্টে দিয়েছিলো ভারতীয় জনতা পার্টি। দখল করেছিলো ক্ষমতা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার প্রথম কারণ বাম নেতা-কর্মীদের দুর্নীতির কৃষ্ণ গহ্বরে নিমজ্জিত হওয়া। শত চেষ্টা করেও বামেরা দুর্নীতির ব্ল্যাক হোল থেকে বের হতে পারে নি। ফল স্বরূপ ২৫বছরের দূর্গ ভেঙ্গে পড়েছিল তাসের ঘরের মতো। বিজেপি জনতার কোটি কোটি প্রত্যাশা নিয়ে বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিলো। কিন্তু বিজেপি সরকার কাজ করা সত্ত্বেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ২৩- র নির্বাচনের প্রাক লগ্নে বদল হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত। বিপ্লব কুমার দেবের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন ডা: মানিক সাহা। ২৩- র নির্বাচনে মানিক সাহাকে মুখ করে বিজেপি ফের ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু মাত্র ৩২টি সরকার নিয়ে সূতোর উপর ঝুলতে থাকে সরকার। এই মুহূর্তে মাত্র ৩১টি আসন বিজেপির হাতে।একেবারেই বিপদ সীমার মধ্যে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে বিজেপির জেলা-মণ্ডল ও বুথ স্তরের একাংশ নেতারা দুর্নীতির অক্টোপাসের জড়িয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট নেতাদের আশ্রয় পশ্রয় দিয়ে থাকেন রাজ্য কমিটির কয়েকজন তোলাবাজ নেতা। এই নেট ওয়ার্কের কারণে কালিমা লিপ্ত হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কালির ছিটা পড়ছে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতির উপর।জনমনে নষ্ঠ হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি।
রাজ্য বিজেপিতে এখন কমছে ভোট কালেক্টরদের সংখ্যা। বাড়ছে মানি কালেক্টরের সংখ্যা। এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বিলক্ষণ বুঝতে না পারলেও অনুধাবন করেছেন প্রাক্তন সভাপতি রনজয় দেব। যদিও তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত। সম্প্রতি রনজয় দেব তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। এই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ” ধারাবাহিক ভাবে JM 24 News দক্ষিণ জেলার বিজেপির তোলাবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে খবর সম্প্রচার করেছে। দিয়েছে তোলাবাজ নেতাদের নাম, ঠিকানা। সঙ্গে গাদায় গাদায় তথ্য। তারপরও নীরব কেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য?”
প্রদেশ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রণজয় দেব দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তোলাবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে বিপদ বাড়বে বিজেপির।
ধনপুর ও বক্সনগর কেন্দ্রের উপ ভোট এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কঠিন পরীক্ষার মুখে সন্মুখীন হতে হবে বিজেপিকে। মূখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা ও প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে প্রমাণ করতে হবে তাদের কথা ও কাজ উভয় দায়িত্ত্বই পালন করছেন।