
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৩আগস্ট।।
সরকারী জমি জবর দখলবিজেপির স্ব- ঘোষিত টুনু নেতার।তার নাম রাম প্রসাদ রায়।বাড়ি বিলোনিয়ার মুহুরীপুর।জমিটি রাজ্য সরকারের জন স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে।বর্তমানে দপ্তরের নামকরণ জল সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর।দপ্তরের বর্তমান মন্ত্রী খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।কিন্তু রহস্য জনক ভাবে নিশ্চুপ জলসম্পদ ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তর।

সরকারী তথ্য অনুযায়ী, বিলোনিয়া মুহুরী পুরের বাসিন্দা উমেশ রায় আজ থেকে ৪০ বছর আগে তার দশ শতক জমি বিক্রি করেছিলেন। জমিটি ছিলো জোলাই বাড়ী রেভিনিউ সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত। তদানীন্তন সময়ে জমিটির খদ্দের ছিলো খোদ রাজ্য সরকারের জন স্বাস্থ্য বিভাগ। জমিটির বিক্রয় মূল্য ছিল ১২ হাজার টাকা। বর্তমানে উমেশ রায়ের পৌত্র তথা বিজেপির স্ব-ঘোষিত বাহুবলী টুনু নেতা রামপ্রসাদ জমিটি জবর দখল করেছে।

পূর্বের জন স্বাস্থ্য বিভাগ তথা হালের জল সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের দশ শতক জমিটির …
*খতিয়ান নম্বর:১০০১।
• দাগ নম্বর:১৫১৫।
*হাল দাগ নম্বর:১৫১৪।
*মৌজা: পূর্ব মুহুরীপুর।
* তহশীল: মুহুরীপুর।

বিজেপির স্বঘোষিত টুনু নেতা তথা পেশায় গাড়ি চালক রাম প্রসাদ রায় জল সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের জমি জবর দখল করে মাটি দিয়ে ভরাট করেছে। জমির এক অংশে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী অফিস। এবং পাশের জমিতে বেড়া দিয়ে করেছে রাবার গাছের নার্সারি।

ব্যস, সরকারী জমি দখল করে জমজমাট ব্যবসা শুরু করেছে স্বঘোষিত চুনুপুটি বিজেপি নেতা রাম প্রসাদ রায়।তারপরও জমি উদ্ধারের জন্য কোনো হেলদোল নেই দপ্তরের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের।

মুহুরীপুরের চুনুপুটি বাহুবলী নেতার এই সমস্ত কার্যকলাপে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তারা সরকারী জমি পুনরুদ্ধারের জন্য দ্বারস্থ হচ্ছে জেলা শাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে। এবং গোটা বিষয়টি নিয়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার দরবারে।

তবে রহস্য জনক ভাবে জল সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন।জনমনে প্রশ্ন উঠছে তাদের নীরবতা নিয়েও। তাহলে কে বা কারা পেছন থেকে নাড়ছেন কল – কাঠি? শীঘ্রই আসবে জনসম্মুখে।