
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭আগস্ট।।
বক্সনগর লিখবে নতুন রাজনৈতিক ইতিহাস।দ্রুত পাল্টে গিয়েছে ৫১বছরের রাজনৈতিক চিত্র।মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম – কংগ্রেসের।
২৩- র উপ ভোটে বক্সনগরের হবে বিজেপির সূর্যোদয়। উপ ভোটে নিশ্চিত ভাবে জয় হাসিল করবে বিজেপি।প্রথম বারের মতো বিধানসভায় বিজেপি পাচ্ছে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি।

রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে ভোট সমীক্ষা করেছে বিভিন্ন সংস্থা। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির ভোট সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট বক্সনগর কেন্দ্রে দীর্ঘ ৫১বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে বদল ঘটতে চলছে। এবং বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি।নতুন ইতিহাসের সেনানী প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন।

তার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুটা দিন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বক্সনগর রাজনীতিতে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষন। ভোট সমীক্ষক সংস্থাগুলির সমীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই বক্সনগর কেন্দ্র নিয়ে এই মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

১৯৭২ সাল থেকে ২০২৩। এই দীর্ঘ সময়ে বক্সনগর কেন্দ্রে কিছুই করতে পারেনি বিজেপি।২০১৮ ও ২০২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি খাতা খুলতে পারে নি। ২৩- র উপ ভোটেই পাল্টে যাচ্ছে চিত্র। বক্সনগরের রাজনীতির সূচকে উঠে আসছে বিজেপি। এবং খর্ব হচ্ছে এই কেন্দ্রের দানবীয় রাজনৈতিক শক্তি সিপিআইএম’ র ক্ষমতা।এই চিত্র স্পষ্ট। বক্সনগর কেন্দ্রে বিধানসভা ভোট হয়েছে ১১বার। তার মধ্যে বামেরা জয়ী হয়েছে আট বার। এবং কংগ্রেস তিন বার।

১৯৭৭,১৯৮৩,১৯৯৩,২০০৩,২০০৮,২০১৩,২০১৮ ও ২০২৩ – এ জয়ী হয়েছিলো বামেরা। ১৯৭২, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে বক্সনগর দখল করেছিলো কংগ্রেস। তার মধ্যে ৮৮ ও ৯৮- র কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বিল্লাল মিয়া। তিনি এখন ভাজপা শিবিরের সৈনিক।
বর্তমানে বাম-কংগ্রেসকে কোমর ভেঙ্গে দিয়েছেন খোদ প্রাক্তণ মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন আট হাজার ভোটার। এই পরিস্থিতি থেকে বাম – কংগ্রেসের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বক্সনগরের বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের প্রচারে গিয়ে ঝড় তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা।প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য প্রদেশ নেতৃত্ব। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। মুখ্যমন্ত্রী প্রচারে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন ভোটারদের দরজায় দরজায়। এর আগে কোনো মুখ্যমন্ত্রী বক্সনগর কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটারদের দরজায় গিয়ে ভোটের আবেদন করেন নি।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার এই ভূমিকা নিঃসন্দেহে সংখ্যালঘু ভোটারদের মনে বিজেপি নতুন ভাবে জায়গা করে নিয়েছে। সর্বপরি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন বরাবর থাকছেন মানুষের পাশে। বক্সনগর কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। হিন্দু ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এবং জনজাতি ভোট তিন হাজার।

সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা বক্সনগরে একটি নির্বাচনী সভা করেন। এই সভাতেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া। তিনি মুলত বাম – কংগ্রেসের কফিনে শেষ পেরেক পুতে দিয়েছেন নির্বাচনের আগেই। এবং তফাজ্জলের জয়ের পথকে আরো সুগম করে দিয়েছেন। সম্প্রতি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভোট সমীক্ষক সংস্থার সমীক্ষার গতি বিজেপির দিকেই ঝুঁকেছে তাই অকাল ভোটের প্রাক লগ্নেই ভোট বিশেষজ্ঞরা বক্সনগর কেন্দ্রে বিজেপির দিকেই হাকাচ্ছেন বাজির দর।