ডেক্স রিপোর্টার, ৩০আগষ্ট।।
           আন্দোলনের নামে টিএসএফ কর্মীদের বেলেল্লাপনা।পুলিশকে বাগে আনতে লেলিয়ে দিলো মহিলা কর্মীকে।মহিলা কর্মী তার অন্তর্বাস খুলে ঝাপটে ধরে এএসপিকে।এটা আন্দোলনের কোন সংস্কৃতি?রাজ্য  আরক্ষা প্রশাসন চুপ কেন?আন্দোলনকারীরা তিপ্রাসা বলেই কি?পরিষ্কার করে বললে আন্দোলনরত এক জন জনজাতি মহিলা কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকে ফাঁসানোর জন্য নগ্ন খেলায় মেতে উঠেছিলো।

।।অভিযুক্ত আন্দোলনকারী মহিলা।।

ককবরক ভাষায় রোমান হরফ চালু করার জন্য সোমবার আন্দোলন করেছিল গোটা রাজ্যে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই আন্দোলনের পেছনে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র। তারই বহিঃ প্রকাশ ঘটে বড়মুড়া সাধুপাড়াতে। আন্দোলনস্থলে একজন জনজাতি মহিলা বারবার নিজের উদ্ধত্য দেখানোর চেষ্টা করেন।নিজেকে টিএসএফ -র মস্ত বড় নেতা হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।গোটা আন্দোলনস্থলকে বিষিয়ে তুলেছিলেন টিএসএফের এই মহিলার।

।।আইপিএস নবীন পাঠক।।

আন্দোলনস্থলে মহিলার বাড়বাড়ন্ত দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। এই মহিলা উপস্থিত মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেও করে প্রচন্ড দুর্ব্যবহার। তখন মাঝখানে এসে মহিলাকে শান্ত হওয়ার নির্দেশ দেন আরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নমিত পাঠক।


তখনই টিএসএফের এই মহিলা উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সামনেই নিজের অন্তর্বাস টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নমিত পাঠককে জাপটে ধরে। তখন এএসপি ভয়ে সিটিয়ে যান।


উপস্থিত মহিলা পুলিশ কর্মীরা টেনে সরিয়ে দেয়। এই ঘটনা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করে টিএসএফ তাদের আন্দোলনের নামে রাজ্য জুড়ে এক অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছিল।


বড়মুড়ারএই ঘটনার পর কেন নিশ্চুপ রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর? কেন টি এস এফের  আন্দোলনকারী মহিলার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বাঘা বাঘা আধিকারিকরা? ডিজিপি অমিতাভ রঞ্জন কি হাতে চুরি পড়ে আছেন? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডা মানিক সাহা কেন টিএসএফের এই অঘোষিত সুইসাইড স্কোয়াডের মহিলার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে না?


কোথায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের দুর্বলতা? এই মহিলা জনজাতি সম্প্রদায়ের বলেই কি তার অপরাধ মাপ। কিন্তু বেচারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নমিত পাঠক কি কোনো বিচার পাবেন না? এই প্রশ্ন এখন রাজ্যের জনমনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *