
ডেক্স রিপোর্টার, ১সেপ্টেম্বর।।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না প্রাক্তন বিধায়কা মিমি মজুমদারকে।২৩- র নির্বাচনেও তিনি
পেলেন না টিকিট।তার অনেক আগেই
ছেড়েছিলেন চাকরি।টানা পাঁচ বছর বিধায়িকা না থাকার কারণে হাত ছাড়া বিধায়ক ভাতা।এবার ভেঙ্গে গেলো মিমির সুখের সংসার।স্বামী দ্বারস্থ হলেন পারিবারিক আদালতে।দায়ের করয়েছেন
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা।

মিমি মজুমদার। তিনি ছিলেন শহরের বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা।২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩- র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন বাধারঘাটের বিধায়করা। বাধারঘাটের প্রাক্তণ বিধায়ক দিলীপ সরকারের মৃত্যুর পর অকাল ভোটে তিনি বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২৩- র নির্বাচনে দল তাকে টিকিট দেয় নি। এখন তিনি বাধারঘাটের প্রাক্তন বিধায়িকা।

মিমি মজুমদার রাজনীতিতে আসার পর থেকেই তার সংসারে নেমে আসে অশান্তির ছায়া। দফায় দফায় হয় স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা। এক সময় পারিবারিক কলহ অন্তহীন হয়ে উঠে তার সংসারে। স্বামী ড: সুদীপ দাস। তিনি ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মিমিও ছিলেন রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের একজন ইরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা। তার শেষ কর্মস্থল ছিলো বাধারঘাট স্কুল।

দীর্ঘ দিন ধরেই স্বামী সুদীপ দাসের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে আছে। তবে তা ছিলো অঘোষিত ভাবে। মিমি থাকেন মিলনচক্র দূরদর্শন সংলগ্ন বাড়িতে। তার স্বামী অধ্যাপক সুদীপ দাস থাকেন শহরের রবীন্দ্র পল্লী সরকারী আবাসে। অনেক টানা পুরেনের পর মিমি মজুমদারের স্বামী শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। এবং তিনি দায়ের করেছেন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা।
আগরতলা পারিবারিক আদালতের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪জুলাই মিমি মজুমদারের স্বামী অধ্যাপক সুদীপ দাস ফ্যামিলি কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।
*মামলার নম্বর: TS(Div) 313/2023

পারিবারিক আদালতের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর বিচারকের সামনে এই মামলার প্রথম শুনানি শুরু হবে। বাদী – বিবাদী উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন বিচারক। আদালতের প্রাপ্ত তথ্য বলেছে, অধ্যাপক সুদীপ দাসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবিষ্ট হওয়ার আগে মিমি মজুমদারের আরোও একবার বিয়ে হয়েছিল। তিনি বিয়ে করেছিলেন কলকাতার এক বাসিন্দাকে।

কিন্তু সেই সংসারও টেকে নি। দুর্ভাগ্য জনক ভাবে মিমি মজুমদারের প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর তিনি বিয়ে করেছিলেন অধ্যাপক সুদীপ দাসকে। কিন্তু সুদীপ দাস নাকি মিমি মজুমদারের প্রথম বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। কিন্তু আগরতলা পারিবারিক আদালতের মামলা দায়ের করার সময় সুদীপ দাস মিমি মজুমদারের প্রথম বিয়ের ম্যারেজ সার্টিফিকেটও জমা করেছেন। এখন দেখার বিষয় আদালতে মামলার জল কোন দিকে গড়ায়।