ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩সেপ্টেম্বর।।
             গত ১০সেপ্টেম্বর “জনতার মশাল”- র রাজ্যের ডিরেক্ট ডিএসপি ও প্রমোশন প্রাপ্ত ডিএসপিদের সংঘাতের বিষয় নিয়ে খবর সম্প্রচার করেছিল। সম্প্রচারিত খবরে দাবি করা হয়েছিল ডিরেক্ট টিপিএস অফিসাররা এই মুহূর্তে ব্রাত্য। আরক্ষা প্রশাসনে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি সুবিধা ভোগ করছেন প্রমোশনপ্রাপ্ত টিপিএস অফিসাররা। এই বক্তব্য ছিল ডিরেক্ট টিপিএস অফিসারদের।”জনতার মশাল- র  সম্প্রচারিত খবর যে সত্যি ছিল তার প্রমাণ দিয়েছে খোদ রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তর এবং রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন।


গত ১০সেপ্টেম্বর “জনতার মশাল”এই সংক্রান্ত খবর সম্প্রচার করেছিল।তার  দুই দিন পর অর্থাৎ ১২সেপ্টেম্বর রাজ্য আরক্ষা প্রশাসন একটি নির্দেশ জারি করে। যার…

*Vide No: 7556-62(5)/ T. IX (5)-Police/18 (V-1)

এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে।নির্দেশ দিয়েছেন খোদ পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন।

* কি লেখা আছে তাতে?

।।অমল চক্রবর্তীর অর্ডার কপি।।

অমল চক্রবর্তী, টিপিএস গ্রেড-২। তিনি বর্তমানে সিপাহীজলা জেলার ডিআইবি-র ডিএসপি। অমল চক্রবর্ত্তীকে সিপাহীজলা জেলার ডিআইবি-র ডিএসপির দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত  হিসাবে উওর জেলার  কাঞ্চনপুর মহকুমার এসডিপিও-র দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। তাও আবার লুক আফটার করার জন্য অর্থাৎ দেখাশুনা করতে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ডিএসপি অমল চক্রবর্তী উভয় দায়িত্ত্বই পালন করবেন।”


অমল চক্রবর্তী একজন প্রমোশন প্রাপ্ত টিপিএস অফিসার। সাব-ইন্সপেক্টর থেকে প্রমোশন পেয়ে ইনস্পেকটর এবং পরে ডিএসপি হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজ্য পুলিশের কি ডিএসপিদের আকাল লেগেছে? যে একজন ডিএসপিকে দুই জেলার কাজ দেখার জন্য দায়িত্বও দিতে হবে। তাও আবার রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। খবর অনুযায়ী,রাজ্য পুলিশের এখনও বহু ডিরেক্ট টিপিএস  অফিসার রয়েছেন, যাদেরকে কোনো দিন এসডিপিও- র দায়িত্বই দেওয়া হয় নি।


তাছাড়া টিএসআর সহ পুলিশের বহু গুরুত্বহীন ইউনিট গুলিতে মাছি মারার কেরানীর মতো তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সমস্ত অফিসারদের কেন পুলিশ সাব – ডিভিশনের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না। উঠছে প্রশ্ন।


গত ১২ সেপ্টেম্বর  সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ডিএসপি অমল চক্রবর্তীর নির্দেশ নামাতে স্বাক্ষর করেছেন পুলিশের এস্টাব্লিস ম্যান্ট ইউনিটের এআইজি শাশ্বত কুমার। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্ট টিপিএস অফিসারদের বক্তব্য, সাম্প্রতিককালে দপ্তর তাদের সঙ্গে বিমাতৃ সুলভ আচরণ শুরু করেছে। এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে মোট প্রায় ৩০জন ডিরেক্ট টিপিএস গ্রেড ওয়ান অফিসার রয়েছেন। ৪০ জনের অধিক আছেন প্রমোশন প্রাপ্ত গ্রেড ওয়ান অফিসার।


প্রমোশনপ্রাপ্ত গ্রেড ওয়ান অফিসারদেরকেই অধিকাংশ পুলিশ সাব-ডিভিশন গুলিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ব্রাত্য রাখা হয়েছে ডিরেক্ট টিপিএসদের। প্রমোশনপ্রাপ্ত ডিএসপিদের একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে দুই থেকে তিনটি দায়িত্ব।


অন্য দিকে ডিরেক্ট টিপিএসদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে হাত গুটিয়ে । পুলিশ সদর দপ্তরের অন্দরমহলে এই রাজনীতির অন্তরালে কে বা কারা রয়েছেন? কেনই বা এই সমস্ত কার্যকলাপের মাধ্যমে পুলিশে – পুলিশের মধ্যে সংঘাতকে আরো গভীরে প্রোথিত করছেন? আগামী পর্বে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবে “জনতার মশাল”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *