ডেস্ক রিপোর্টার,১নভেম্বর।।
           ইজরায়েল – প্যালেস্টাইনের যুদ্ধের ছায়া এবার ভারতেও।কেরালার বিস্ফোরনে সামনে
এসেছে হাড়হিম করা তথ্য।এই বিস্ফোরণের পিছনে
জড়িত হামাস গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। প্রাথমিক ভাবে এই
আশঙ্কা দেশের গোয়েন্দার।সন্দেহের তির কেরালার প্রাক্তন হামাস প্রধান খালেদ মশাল-র দিকে।
বিস্ফোরণের ১২ ঘন্টা আগেই উত্তেজক বক্তব্য রেখেছিলেন খালেদ।খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠান টার্গেট করেই ইসলামিক জঙ্গিদের এই বিস্ফোরণ।
গত ২৯ অক্টোবর সাতসকালে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কেরলের এর্নাকুলাম এলাকা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্থানীয় কালামাসেরি অঞ্চলের একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণ ঘটেছিলো। তখন সেখানে চলছিলো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি অনুষ্ঠান।

খালেদ মশাল(হামাস নেতা)

স্থানীয় লোকজন ও কেরল পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছিলো। তিন দিন ধরে ওই কনভেনশন সেন্টারে চলছিলো খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি জাক জমক অনুষ্ঠান। বিস্ফোরণের দিনই ছিল অনুষ্ঠানেরও অন্তিম দিন। সেখানে প্রায় দু’হাজার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এরা প্রত্যেকেই ই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের।
কেরালার পুলিশের তথ্য বলেছে, এই  বিস্ফোরণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এবং ৪০জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পিছনে নাশকতার ছক স্পষ্ট, অনুসন্ধানকারী পুলিশের কাছে।সন্দেহের তির কেরালার প্রাক্তন হামাস প্রধান খালেদ মশাল-র দিকে। বিস্ফোরণের আগের দিন খালেদ মালাপ্পুরামে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এবং সরাসরি ইজরায়েল ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরূদ্ধে বিদ্বেষ মূলক কথাবার্তা বলেছিলেন। বিস্ফোরণের রহস্য উন্মোচন করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনআইএ ও  এনএসজি। কেরালা পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও তদন্ত শুরু করেছে পৃথক ভাবে। তবে এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত লোকজনকে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করতে পারেনি।
এর্নাকুলাম বিস্ফোরনে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় জখমদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।

।।বোমা বিস্ফোরণের পরের দৃশ্য।।

কেরালার এই বিস্ফোরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে ফের ইসলামিক জঙ্গিদের মাথা চাড়া দেওয়ার বিষয়টি প্রকট হয়ে উঠেছে। ভারতে এতদিন ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট ছিল হিন্দুরা।এখন তাতে নতুন সংযোজন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন। তার জ্বলন্ত প্রমাণ এর্নাকুলামের বিস্ফোরণ। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারত ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। তবে এই ক্ষেত্রে ভারত মানসিক ভাবে মিত্র শক্তি ইজরায়েলের দিকে ঝুঁকে আছে।স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের এই দৃষ্টি ভঙ্গী পছন্দ করবে না ইসলামিক মৌলবাদীরা। তাই ভারতের মাটিতে ফের  নাশকতার মাধ্যমে নিজেদের শক্তি জানান দিতেই কেরালাতে বিস্ফোরন ঘটিয়েছে
হামাস গোষ্ঠী। এই দিকের তদন্তের কম্পাস রেখে রহস্য উন্মোচনের জাল বিস্তার করছে এনআইএ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *