ডেস্ক রিপোর্টার,৬নভেম্বর।।
                   রাতের আগরতলায় পুলিশী তাণ্ডব। খোদ ওসির নেতৃত্বে।আইনের রক্ষা কবজকে হাতিয়ার করে পুলিশ নষ্ট করেছে মানুষের সম্পদ।করেছে অনৈতিক ভাবে গ্রেফতার। অগ্র ভাগে দাড়িয়ে গোটা ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন পশ্চিম থানার ওসি জয়ন্ত দে। ওসির এই ধরনের তাণ্ডব মেনে নেয় নি নগরের মানুষ। ঘটনা লক্ষ্ণী পূজার আগের দিন রাতে। ওসি জয়ন্ত দে- র হাতে লাঞ্চিত মানুষ দ্বারস্থ হবেন পুলিশ  একাউন্টটিবিলিটি কমিশনে। তারা এমনটাই জানিয়েছেন।


লক্ষ্মী পূজার আগের রাত,মানেই ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। স্বাভাবিক ভাবে রাত এগারোটার মধ্যেই ব্যবসা গুছানো সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।তারপরও মানুষ দোকানের দরজা লাগিয়ে বাণিজ্যিক কাজ কর্ম করে থাকে।তাতে অবশ্যই পুলিশের ক্ষতির কিছু নেই। কিন্তু না, পশ্চিম থানার “কমরেড” ওসি জয়ন্ত দে’ র হুলিয়া এটাও করা সম্ভব হবে না। লক্ষ্মী পূজার আগের দিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ “কমরেড” ওসি সাহেব জয়ন্ত বাড়ির দিকে রওনা হন।তখন তিনি দেখতে পান মেলারমাঠ স্টেট ব্যাংকের বিপরীত দিকের রাস্তায় দুইটি বাইক। পাশেই দেবী রেস্টুরেন্ট।তখন তিনি থানা থেকে জরুরী তলবে পুলিশ – টি এস আর নিয়ে যান।এবং রাস্তার পাশে দাঁড় করানো দুইটি মোটর বাইক নির্বিচারে ভাঙচুর শুরু করে পুলিশ। ওসি জয়ন্ত সামনে দাড়িয়ে পুরো ঘটনা উপভোগ করছিলেন। তখন বাইক ভাঙার শব্দ পেয়ে রেস্টুরেন্টের দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ম্যানাজার।


পুলিশ তার কাছে জানতে চায়, এতো রাতে দোকান খোলা কেন? প্রত্যুত্তরে ম্যানাজার জানান,তিনি দরজা  লাগিয়ে ব্যবসার হিসেব নিকেশ করছেন।এবং পুর নিগমের নির্দেশ অনুযায়ী, রাত এগারোটার মধ্যেই দোকান লাগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কে কার কথা শুনে? “কমরেড “ওসি জয়ন্ত দে ম্যানেজারের  কোনো কথা শুনতে রাজি নন। বাইক ভাংচুর করে ম্যানাজারকে তুলে নিয়ে আসেন। ওসি জয়ন্ত নিজের খাকি ওর্দির ক্ষমতা দেখিয়েছেন নিরীহ মানুষের সঙ্গে।অথচ বীর পুঙ্গব ওসি জয়ন্ত দের ক্ষমতা হয় আগরতলা আদালত চত্বরে খুন হওয়া মুহুরি অমিত আচার্য- র খুনিদের গ্রেফতার করার জন্য। ছি: ছি:। পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ঘরের এক কোনে কোনো ব্যাঙের মতো বসে থাকা জয়ন্ত এখন নাকি মস্ত বড় পুলিশ মাফিয়া।


প্রশ্ন হচ্ছে,”কমরেড” ওসি জয়ন্ত দে কোনো আইনে রেস্ট্রুরেন্ট- র ম্যানেজারকে ধরে নিয়ে আসেন। পুর নিগম ঘোষণা দিয়েছে রাত এগারোটার পর দোকান খোলা রাখতে পারবে না।তাহলে রাত এগারোটার পর যদি কোনো দোকান খোলা থাকে তাহলে পুর নিগম কেন জরিমানা করছে না?


বাম জামানার কমরেড পুলিশ অফিসারদের অন্যতম ছিলেন জয়ন্ত দে। পুলিশ মহলে কান পাতলে শোনা যায়, বাম জামানায় জয়ন্ত নিজেকে প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর ভাগ্নে হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকতো। তার চাকরির পেছনেও নাকি বাদল চৌধুরীর হাত। আর হবেই, বা না কেন?  এই কারণেই তো জয়ন্ত ও তার ছোট ভাই প্রশান্ত এক সঙ্গে চাকরি বাগিয়ে নিয়েছিলো। আর এখন এই জয়ন্ত- ই রাজ্য পুলিশের গেরুয়া হনু!তাই অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টু – পাইস কমিয়ে সাধারণ সৎ ব্যবসায়ীদের হেনস্থা করে নিজের নাম কমানোর চেষ্টা করছেন।বলছেন, খোদ পশ্চিম আগরতলার থানায় কর্মরত নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *