ডেস্ক রিপোর্টার , ২৯ডিসেম্বর ।।
          গন্ডাছড়া মহকুমার ডম্বুর জলাশয়। ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করেই আছে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ডম্বুর জলাশয়ের আশপাশে প্রায় হাজার তিনেক পরিবারের বসবাস। তারা সবাই মৎস্যজীবী। মাছ বিক্রি করেই তারা নির্বাহ করে জীবিকা। তাই ডম্বুর জলাশয়ই  তাদের  বেচেঁ বর্তে থাকার এক মাত্র অবলম্বন।ডম্বুর জলাশয় রাজ্যের পর্যটন শিল্পেরও একটি অন্যতম স্থান।

।।গন্ডাছড়া মৎস্য দপ্তরে বাম নেতৃত্বের ডেপুটেশন।।

সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডম্বুর জলাশয় এন এস একুয়া নামক একটি বেসরকারি  সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এই সংস্থাই এখন থেকে ডম্বুর জলাশয়ে মৎস্য চাষ সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখাশোনা করবে এবং ডম্বুর জলাশয়ে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করবে।  বিগত কিছুদিন আগে এই বেসরকারি সংস্থার লোকজন ডম্বুর জলাশয়ে গিয়ে ঘুরে দেখেছেন।
বেসরকারীকরন সংক্রান্ত বিষয়ে  এনএস একুয়ার সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত। রাজ্য সরকার এনএস একুয়াকে ডম্বুর জলাশয়ের দায়িত্ত্ব  দিলে  মাঠে মার খাবে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ত্রিপুরা তফসিলী জাতি সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক সুধন দাস।


ডম্বুর জলাশয়কে বেসরকারি করণের হাত থেকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে ত্রিপুরা মৎস্য জীবী সমিতি। সঙ্গে ত্রিপুরা তফসিলী জাতি সমবায় সমিতি। উভয় সংগঠনের নেতৃত্ব   বৃহস্পতিবার গন্ডাছড়া মৎস্য দপ্তরের সুপারের কাছে এক ডেপুটেশনে মিলিত হন।. তবে ডেপুটেশন কালে সুপার না থাকাতে তাদের পাঁচ দফা দাবী সনদ তুলে দেন দপ্তরে উপস্থিত ফিশারি অফিসারের হাতে।
    রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস জানিয়েছেন, ডম্বুর জলাশয়কে বেসরকারিকরণের খবর রয়েছে ফিশারি অফিসারের কাছেও। ডেপুটেশন কালে একথা নাকি স্বীকারও করেছেন উপস্থিত ফিশারি অফিসার। সুধন দাসের কথায়, ডম্বুর জলাশয়ের সঙ্গে রুদ্র সাগরও বেসরকারিকরন করার পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকার।


বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, ডম্বুর জলাশয় বেসরকারী সংস্থার হাতে তুলে দিলে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের পেটে লাথি পড়বে।তাদের না খেয়ে মরতে হবে। কারণ এই জলাশয়ের উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে আশপাশের মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডেপুটেশনে উপস্থিত বাম নেতৃত্ব। সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু না হটলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে ত্রিপুরা মৎস্যজীবী সমিতি।এদিনের ডেপুটেশনে অন্যান্য নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মনীন্দ্র দাস, নারায়ণ সরকার, ললিত ত্রিপুরা। মৎস্যজীবী সমিতির নেতা মিন্ময় দাস , সুবোধ মল্লিক, বিশ্বজিৎ সরকার সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *