ডেস্ক রিপোর্টার,২৭ সেপ্টেম্বর।।
টিসিএস অফিসার্স এসোসিয়েশনের সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর করা বক্তব্যের জল গড়ালো আদালতে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছেন।এই অভিযোগ তুলে কয়েকজন আইনজীবী ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।তারা দায়ের করেন মামলা।সোমবার শুনানির শেষে এই মামলা খারিজ করে দেন ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এএ কুরেশি। প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেছেন, “আদালত এই বিষয়ে কোনো বিতর্কে জড়াতে চায় না।তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তাঁর বক্তব্যের স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন।তাই এই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছে আদালত।”
গত ২৫সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী একটি মন্তব্য করেছিলেন “তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া এতো সহজ নয়”কারণ তিনি পুলিশ মন্ত্রী।এই বক্তব্যের জের ধরেই তোলপাড় ত্রিপুরা-বাংলার রাজনীতি। “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছেন”—এই অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধী দল সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। একই ইস্যুতে সোমবার ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের দুই বরিষ্ঠ আইনজীবী
পুরুষোত্তম রায় বর্মণ, সোমিক দেব সহ অন্যান্যরা। এদিন মামলার শুনানি হয় উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশির এজলাসে।
মামলার শুনানি কালে রাজ্য সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শঙ্কর দে যুক্তি দিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও রাজনৈতিক মাইলেজ পাওয়ার জন্য বিরোধীরা সরব হয়েছে। সঙ্গে মামলাকারীরাও।

আদালতে সওয়ালের সময় অ্যাডভোকেট জেনারেল সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের স্ক্রিন শটও দেখিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “গত ২৫ সেপ্টেম্বর আমার বক্তব্যের বিকৃত করা হয়েছে। রাজ্যের কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ভুলভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন, তিনি বিচার বিভাগের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে সন্মান করেন।এবং বিচার বিভাগের মহিমা বজায় রাখার দায়িত্বও তাঁর আছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল সাইটে দাবি করেছিলেন, “তিনি কখনো অফিসারদের আদালতকে অসম্মান করার কথা বলেননি।”
দুই পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতি এএ কুরেশি বলেন, আদালত বিষয়টিকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে না। এবং এই বিতর্কে জড়াতে চায়না।যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টির স্পষ্ঠী করণ দিয়েছেন,তাই মামলা আদালত নিষ্পত্তি করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *