ডেস্ক রিপোর্টার,১০অক্টোবর।।
” দীর্ঘ লাইন বা জনসভা দিয়ে কিছু হবে না। মানুষকে জনসভায় আসতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে।” —- রাজধানীর বাধারঘাট দশরথ দেব স্টেডিয়ামে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ আয়োজিত ধন্যবাদ সভায় একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কারণ, এবারই প্রথম রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের পুজোর এডভান্স হিসাবে ২০হাজার টাকা দেওয়া হয়। হোমগার্ড,অঙ্গনওয়ারি কর্মীদেরও পাঁচ হাজার টাকা করে এডভান্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। উৎসব মরশুমে সরকারের এই উদ্যোগের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায় সরকারি কর্মচারীরা। ধন্যবাদ সভার আয়োজন করে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ।
রবিবার দশরথ দেব স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য সরকারি কর্মচারীরা এক সঙ্গে জড়ো হয়।এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ লাইন বা জনসভা দিয়ে কিছু বোঝা যায় না।জনসভায় মানুষকে আসতে হবে স্ব-ইচ্ছায়।কারণ শাসক দলের জনসভায় নানান কারণে মানুষ হবে।কিন্তু প্রত্যেককে আসতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে।তবেই স্বার্থকতা আসবে।
প্রসঙ্গ ক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্বতন শাসক দল বামেদের জনসভায়ও মানুষ আসতেন কিন্তু তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসতেন না।তার প্রতিফলন পাওয়া গিয়েছে ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে।দেখা গেছে নির্বাচনের সময়, পুলিশ, টিএসআর,হোমগার্ড সহ রাজ্যের সমস্ত কর্মচারীরা ভোট দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে।এখনো রাজ্যের কর্মচারীরা বিজেপি’র পাশে আছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, আবেগ প্রবন হয়ে উপস্থিত কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন,” আমাকে স্যার বলে ডাকবেন না।দাদা বা ভাই বলেই ডাকবেন।আমি তাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। স্যার বলে ডেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দেবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বুঝতে চেয়েছেন, “স্যার” সম্বোধনের মধ্যে কোনো আবেগ থাকে না।থাকে পেশাদারিত্ব।তাই শুধু অফিসিয়াল মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে “স্যার” সম্বোধন করতে বলেছেন। এই গন্ডির বাইরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আমজনতার কাছে দাদা বা ভাই পরিচয়েই থাকতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের মানসিকতায় পঞ্চমুখ দশরথ দেব স্টেডিয়ামে উপস্থিত সরকারি কর্মচারীরা।
এদিনের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, তথ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী,প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি ডা : মানিক সাহা,স্থানীয় বিধায়ক মিমি মজুমদার, বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, ক্রীড়া পর্ষদের সচিব অমিত রক্ষিত সহ রাজ্য স্তরের কর্মচারী নেতৃত্ব।
