“পশ্চিম জেলা পুলিশের এই বিজ্ঞাপন প্রমাণ করে ভিকির হত্যাকারী রাজু বর্মনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে তদন্তকারী পুলিশ তারা এখন হাঁফাচ্ছে। কোথায়ও রাজু বর্মনকে পুলিশ খুঁজে পাইনি। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা। রাজু বর্মন একজন সাধারন অপরাধী। অথচ তার খোঁজ পেতেই তথাকথিত নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ রাজ্য পুলিশ ঘাম ঝরিয়েও ব্যর্থ। তাহলে রাজু কোথায় গা – ঢাকা দিয়েছে? রাজু বর্মন রাজ্যে নেই।তাহলে কি গোটা দেশেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?”—-

**অপরাধের পদার্থবিদ্যা অনুযায়ী, এক সময় তদন্তের দ্রাবকের মধ্যে ভিকি হত্যা মামলা দ্রবীভূত হয়ে একটি দ্রবণ তৈরি হয়ে যাবে। আর এই দ্রবণ গুরুত্বহীন হয়ে চিরকাল রাজ্য পুলিশের ল্যাবরেটরির পাত্রে বন্দী হয়ে থাকবে।**

ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০জুন।।
ঊষা বাজার ভারত রত্ন সংঘের প্রাক্তন সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি হত্যাকাণ্ডের( Durga Prasanna Murder Case) দুইমাস পরও অধরা হত্যাকারীরা। ভিকি খালাসের মাষ্টার মাইন্ড(Mastermind ) রাজু বর্মন সহ তার লোকজন পুলিশের রাডারের(police radar) বাইরে।পুলিশ তাদের সন্ধান করতে ব্যর্থ। তাই রাজু বর্মনকে গ্রেফতার করতে পশ্চিম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।তাতে রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের তদন্তের কঙ্কাল সার বেরিয়ে এসেছে। অন্যথায় বলতে হবে, ভিকি হত্যা মামলা আরো গুরুত্বহীন করতেই পুলিশ জেনে বুঝেই নাটক শুরু করেছে।

আগামী কিছুদিন পর হয়তো বা রাজুকে ফেরার আসামী হিসাবে ঘোষণা দেবে আরক্ষা প্রশাসন।তখন ধীরে ধীরে ভিকি হত্যা মামলা পুলিশি তদন্তের জলের নিচে আরো থিতিয়ে যাবে।পরিষ্কার করে বললে, অপরাধের পদার্থবিদ্যা(physics) অনুযায়ী, এক সময় তদন্তের দ্রাবকের মধ্যে ভিকি হত্যা মামলা দ্রবীভূত হয়ে একটি দ্রবণ তৈরি হয়ে যাবে। আর এই দ্রবণ গুরুত্বহীন হয়ে চিরকাল রাজ্য পুলিশের ল্যাবরেটরির(Laboratory) পাত্রে বন্দী হয়ে থাকবে।

পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশ সুপারের অফিস থেকে দেওয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,
*Ref. Airport PS
*Case No. 2024 ARP037 dt. 01/05/2024
*U/S 302/120(B) IPC & Sec. of Arms Act and added Sec. 201/ 34 IPC

“রাজু বর্মনের ছবি সাঁটানো বিজ্ঞাপন লেখা হয়েছে পাশের ছবিটি একজন পলাতক আসামীর ছবি। নাম রাজু বর্মণ (Raju Barman) পিতা- মৃত মদন বর্মণ, সাং- ঊষাবাজার(Ushabazar) ছিনাইহানী, থানা- এয়ারপোর্ট, পশ্চিম ত্রিপুরা। বয়স ৩৭ বছর। উক্ত ব্যক্তি উপরে উল্লেখিত মোকদ্দমায় অপরাধ করার পর পলায়ন করেছে। “
বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, উপরে উল্লেখিত মোকদ্দমায় পলাতক আসামীর সম্বন্ধে কোন তথ্য জানা থাকিলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপারের অফিস ও জেলার সিটি কন্ট্রোল অফিসে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সঙ্গে দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপারের অফিস ও সিটি কন্ট্রোলের(City control) ফোন নম্বার ।

পশ্চিম জেলা পুলিশের এই বিজ্ঞাপন(Advertisement) প্রমাণ করে ভিকির হত্যাকারী রাজু বর্মনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে তদন্তকারী পুলিশ তারা এখন হাঁফাচ্ছে। কোথায়ও রাজু বর্মনকে পুলিশ খুঁজে পাইনি। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা। রাজু বর্মন একজন সাধারন অপরাধী। অথচ তার খোঁজ পেতেই তথাকথিত নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ রাজ্য পুলিশ ঘাম ঝরিয়েও ব্যর্থ। তাহলে রাজু কোথায় গা – ঢাকা দিয়েছে? রাজু বর্মন রাজ্যে নেই।

তাহলে কি গোটা দেশেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?গোয়েন্দার একটা অংশের দাবি, রাজু বর্মন, বিমান দাস,অমিত ঘোষ, প্রভাকর ঘোষ, সুকান্ত গুপ্তরা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।তাই তারা তদন্তকারী পুলিশের রাডারের বাইরে। রাজ্য পুলিশ কি ইন্টারপোলের(Interpol) সাহায্য নেবে। বা অপরাধী প্রত্যাবর্তন আইন অনুযায়ী ঢাকার(Dhaka) কাছে সাহায্য চাইবে রাজু বর্মনকে গ্রেফতারের জন্য।

তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে রাজুর টিকিট নাগাল না পেলে তারা তাকে ফেরার আসামী হিসেবে ঘোষণা করবে। যখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তখন কাস্টাডিতে(Custody ) রেখেই চলবে বিচার প্রক্রিয়া। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ আর্জি জানাবে আদালতে। তবে শুধু রাজুই নয়, তার অন্যান্য সঙ্গী বিমান দাস, প্রভাকর ঘোষ, অমিত ঘোষ, দেবব্রত বর্মন, সুকান্ত গুপ্তদের নামেও পুলিশ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পথে হাঁটছে। তাদেরকে ঘোষণা করবে ফেরার আসামী হিসেবে।

এখন দেখার বিষয় রাজ্য পুলিশের বাঘা বাঘা আধিকারিকরা কি আদৌ রাজুকে গ্রেপ্তার করতে পারবে? নাকি, তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভিকি হত্যা মামলার তদন্ত ক্লোজ চ্যাপ্টারে (Close Chapter)পরিণত করে দেবে?