“ছাত্র – ছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালীন ঘটনাস্থলে হাজির হন রাষ্ট্রবাদী নেতা তথা স্থানীয় মাফিয়া কান্তি গোপাল নাথ। সঙ্গে স্কুলে এসএমসি কমিটির চেয়ারম্যান। স্থানীয় শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্দ্র মনি নাথ, বিজেপির টুনু নেতা নারায়ণ নাথ, দেবাশীষ নাথরা। তারা আন্দোলনরত ছাত্র – ছাত্রীদের শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করে।জানিয়েছেন নির্যাতিতারা।”…

।।আন্দোলনরত ছাত্রীরা।।

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
            অমানবিক। নির্বিচারে আন্দোলনরত ছাত্রীদের উপর আক্রমণ।আক্রমণকারী রাষ্ট্রবাদী দলের নেতা শাসক দলের গুণ্ডা নেতাদের আক্রমণে আট জন ছাত্রী।ঘটনা মঙ্গলবার আনন্দবাজার জীবন ত্রিপুরা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
গত তিন মাস আগে কাঞ্চনপুর থেকে ব্রজলাল নাথ নামে এক শিক্ষক বদলি হয়ে এসেছিলেন যুবরাজ নগরের আনন্দবাজার জীবন ত্রিপুরা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তিনি আসার পর পাল্টে যায় স্কুলের পঠন – পাঠনের চিত্র। শিক্ষক ব্রজলাল নাথ স্কুলের দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশেও দাঁড়ান। তিনি অকাতরে ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

।।বিজ্ঞাপণ।।

কিন্তু আচকা এই শিক্ষককে বদলির নোটিশ ধরিয়ে দেয় দপ্তর। এই খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা।তারা মঙ্গল বারে প্রতিবাদ স্বরূপ স্কুলে তালা ঝুলিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।এটাই ছিল ছাত্র – ছাত্রীদের অপরাধ। কি বলছে নির্যাতিতা ছাত্রী?
       ছাত্র – ছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালীন ঘটনাস্থলে হাজির হন রাষ্ট্রবাদী নেতা তথা স্থানীয় মাফিয়া কান্তি গোপাল নাথ। সঙ্গে স্কুলে এসএমসি কমিটির চেয়ারম্যান। স্থানীয় শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্দ্র মনি নাথ, বিজেপির টুনু নেতা নারায়ণ নাথ, দেবাশীষ নাথরা। তারা আন্দোলনরত ছাত্র – ছাত্রীদের শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করে।জানিয়েছেন নির্যাতিতারা।

।।রাষ্ট্রবাদী গুণ্ডা কান্তি গোপাল নাথ।।

এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকরা।সঙ্গে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। দমকল কর্মীরা আন্দোলনরত আহত ছাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। রাষ্ট্রবাদী দলের নেতা কান্তি গোপল নাথ ও তার সাগরেদদের সংঘটিত গুন্ডামির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাম বিধায়ক শৈলেন্দ্র নাথ।

“রাষ্ট্রবাদী দলের নেতা কান্তি গোপাল নাথ ও তার লোকজনের গুন্ডামির খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও আক্রমণ করা হয়।প্রতিবাদের সাংবাদিকরা রাস্তা অবরোধ সহ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।”

।।আন্দোলনরত সাংবাদিকরা।।

রাষ্ট্রবাদী দলের নেতা কান্তি গোপাল নাথ ও তার লোকজনের গুন্ডামির খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও আক্রমণ করা হয়।প্রতিবাদের সাংবাদিকরা রাস্তা অবরোধ সহ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।.স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের উপর রাষ্ট্রবাদী দলের নেতা কান্তি গোপাল নাথ ও তার লোকজনের আক্রমণের ঘটনায় থম থম করছে গোটা এলাকা।অবাক করার মতো বিষয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজেও শাসক দলের নামধারী গুণ্ডাদের ভয়ে জর ভরত হয়ে আছেন।
   

।।স্কুলের ভীতু প্রধান শিক্ষক।।

এই খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/big-breaking-news-bjp-leader-papiya-dutta-negotiation-mafia-poster-poster-poster-six-laps-agartala-tripura-news-big-breaking-news/

আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শাসকদলের চিনেপুটি নেতাদের আক্রমণের ঘটনা নিয়ে সর্বত্র বইছে নিন্দার ঝড়। তবে এখন পর্যন্ত বিজেপির উত্তর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানানো হয় নি। তবে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কান্তি গোপাল নাথ এলাকায় একজন সমাজড্রোহিত হিসেবেই পরিচিত। গত ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে কান্তি গোপাল বিজেপির সঙ্গে গোসা করে নির্দল থেকে দাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল।


যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্য নেতারা তাকে ম্যানেজ করে । কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে কান্তি গোপাল নাথ যে কোনো ফ্যাক্টরি নয় তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই । এই আসনটি বিজেপি ধরে রাখতে পারিনি। প্রধান বিরোধী দল সিপিএম ছিনিয়ে নিয়েছিল যুবরাজনগর। স্বাভাবিক ভাবেই সমাজদ্রোহী কান্তি গোপাল নাথ রাজনীতির কত বড় হনু,  এটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তাই তো নিরীহ ছাত্র ছাত্রীদের উপর হাত সাফাই করে আনন্দ উপভোগ করছে কান্তি গোপাল।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *