ডেস্ক রিপোর্টার,২৩অক্টোবর।।
কংগ্রেস আছে কংগ্রেসেই।এখন পরিবর্তন হয়নি তাদের সংস্কৃতি। সিংহ জমানাতেও কংগ্রেস ভবনে “ফ্রী স্টাইলে” মত্ত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরাসরি মারামারিতে লিপ্ত হয় দুই সিনিয়র নেতা নিগমানন্দ গোস্বামী ও জয়দুল হোসেন।এবং শাহজাহান মিয়া ও সুমন লস্কর।দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুড়িও হয়। কংগ্রেস ভবনের দ্বিতলে দীর্ঘ সময় ধরেই চলে লঙ্কাকান্ড। খবর কংগ্রেস ভবন সূত্রে।
খবর অনুযায়ী, শনিবার দুপুরে কংগ্রেস ভবনে পিসিসি’র বৈঠক ছিলো।এই বৈঠকে সমস্ত সদস্যরা আসেন।কিন্তু বৈঠকে আওয়াজ উঠে পিসিসি’তে যোগ্যদের জায়গা না দিয়ে অযোগ্যদের বসানো হয়েছে।এই প্রতিবাদে সরব হয় কংগ্রেসের তরুণ নেতা শাহজাহান মিয়া।সঙ্গে আরও অন্যান্যরা।তাদের প্রশ্ন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের সুমন লস্করকে সাধারণ সম্পাদক থেকে কার্যকরী সভাপতি কেন করা হলো? তাছাড়া যুব কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে সুমন লস্করের ঘনিষ্ট লোক বাপিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।তারও বিরোধীতায় সরব হয় শাহজাহানরা।এই নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডার বাধে। শাহজাহান ও সুমনের মধ্যে শুরু হয় ফ্রী স্টাইল। এই ঘটনার রেশ ধরেই বিশালগড়ের দুই নেতা তথা পিসিসি’র সদস্যের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।কংগ্রেস নেতা জয়দুল হোসেন চেয়ার ছুঁড়ে মারে নিগমানন্দ গোস্বামীকে।এবং গলায় ধরে ধাক্কা দেয়।এমনই খবর কংগ্রেস ভবন সূত্রে।
এই ঘটনার সময় কংগ্রেস ভবনে নিজ চেম্বারে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ।উত্তেজিত কংগ্রেসের একাংশ নেতা প্রদেশ সভাপতি চেম্বারের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে।তখন বীরজিৎ সিংহ ঝামেলা এড়ানোর জন্য নিজের চেম্বারের দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন।শেষ পর্যন্ত অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় কংগ্রেস ভবনের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হল কংগ্রেস সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ারের পরিবর্তন হলেও বাস্তব অর্থে কংগ্রেস এখন দলাদলির রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারেনি।এই কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে কিভাবে বিপ্লব করবে? প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *