ডেস্ক রিপোর্টার,২রা নভেম্বর।।
” মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল কংগ্রেস।—এই স্লোগান দিয়ে থাকেন তৃণমূল নেতৃত্ব।তাদের এই স্লোগান ত্রিপুরাতে অচল।”—বক্তা রাজ্যের সাংসদ তথা জনজাতি মোর্চার রাজ্য সভাপতি রেবতী ত্রিপুরা।মঙ্গলবার বীরচন্দ্র মনুতে বিজেপি’র এক যোগদান সভায় এই কথা বলেন তিনি।
সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গ নেতৃত্ব রাজ্যে এসে নানান কথা বলেন।কিন্তু পশ্চিম বাংলার কি চলছে? তা এই রাজ্যের মানুষ ভাল করেই জানেন।তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব দেশ ভক্তির কথা বলে থাকেন।বাস্তব অর্থে তৃণমূলের কাছ থেকে বিজেপি’র দেশ ভক্তি শিখতে হবেনা।বিজেপি নেতৃত্ব জানেন দেশ ভক্তি কাকে বলে।
বঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে এনে সাংসদ বেরতী ত্রিপুরা জানান, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে যতটা কম বলা যায়,ততটাই ভালো।মা-মাটি-মানুষের স্লোগানের নামে চলছে অরাজকতা। আর তারাই ত্রিপুরায় এসে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন।অন্তত এই রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাতা ফাঁদে পা দেবে না।এই রাজ্যে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।রাজ্য জুড়ে চলছে উন্নয়ন।সাব্রুম মহকুমা জুড়ে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে মৃদু ভাষী সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন,দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলায় যান,তখন তিনি পাহাড়ি হয়ে যান বলে দাবি করে তৃণমূল।এটা আবার কি ধরণের মা-মাটি-মানুষের দল? রেবতী ত্রিপুরার বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বলছে, “খেলা হবে”।রাজনীতিতে একথা মানায় না।রাজনীতি হলো সেবার জায়গা। নেতৃত্ব এখানে সেবা করতে আসেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করে পূর্ব আসনের সাংসদ বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ত্রিপুরাকে হীরা করে দেবে।বাস্তব অর্থে ত্রিপুরা এখন হীরা হয়ে উঠেছে। সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা ভাষায়, ত্রিপুরাকে উন্নয়নের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারবে একমাত্র বিজেপি।তাই মানুষের আস্থা রাখতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যের রেশ টেনে সাংসদ বলেন, পিকে নিজেই বলছেন দেশে আরো অনেক দিন রাজত্ব করবে বিজেপি।
এদিনের যোগদান সভায় তিপ্রামথা ও সিপিআইএম ছেড়ে ২৭পরিবারের ৭৩জন ভোটার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।তাদের মধ্যে তিপ্রামথরা সমর্থিত ২১পরিবারের ৫৯জন ও সিপিআইএম সমর্থিত ৬পরিবারের ১৪ জন ভোটার গেরুয়া শিবিরে সামিল হয়েছেন।নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাদের দলে বরণ করেন খোদ সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *