#Agartala #Hotel #Business#bangladeshi# citizen#Janatar #Mashal
এখন থেকে রাজ্যের কোনো হোটেলে
পরিষেবা পাবে না বাংলাদেশী নাগরিকরা।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৩রা ডিসেম্বর।।
বাংলাদেশকে নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্যের হোটেলে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে রাজ্যের কোনো হোটেলে পরিষেবা পাবে না বাংলাদেশী নাগরিকরা। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেসটুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।সম্প্রতি, বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জন্যই হোটেল মালিকদের সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত। এক বিবৃতির মাধ্যমে রাজ্যের হোটেল মালিকদের সংগঠন তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।সোমবার আগরতলা শহরে হোটেল মালিকরা বৈঠক করেন। এবং এই বৈঠক শেষে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা না দেওয়ার সর্ব সম্মতি সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংগঠন কর্তৃপক্ষ।

ওপারের ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেই রাজ্যের হোটেল মালিকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হোটেল মালিকরা তাদের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ” বাংলাদেশের নাগরিকরা এ রাজ্যে এলে আমরা তাঁদের সম্মান দিয়ে থাকি। তাঁদের পরিষেবার কোনও ত্রুটি হয় না। অথচ, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির জনগণ ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান করছে।পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করছে। “
ওপারের ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেই রাজ্যের হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে কোনও বাংলাদেশি ত্রিপুরার আর কোনও হোটেল পরিষেবা পাবেন না।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ বিভিন্ন কাজে আসে ভারতে। বিশেষ করে দেশের দুই রাজ্য ত্রিপুরা ও পশ্চিম বাংলায়। ভাষার সাদৃশ্য থাকার কারণে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণই ভারতে এসে থাকতে পছন্দ করেন ত্রিপুরার আগরতলা এবং বাংলার রাজধানী কলকাতায়। আগরতলার বিভিন্ন শপিংমল গুলিতে নিয়মিত আসে বাংলাদেশীরা। শপিং করে তারা ফিরে যায় ওপার সীমান্তে।
সম্প্রতি ওপারের এক শ্রেণির উগ্র মানুষ দুই দেশের এই সুন্দর সম্পর্কে ছেদ টেনে দিয়েছে।।
ওপারের বহু মানুষের আত্মীয়-স্বজন রয়েছে এবারের ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিম বাংলায়।সম্প্রতি ওপারের এক শ্রেণির উগ্র মানুষ দুই দেশের এই সুন্দর সম্পর্কে ছেদ টেনে দেয়।তার ফলে টানাপোড়েন পড়েছে এপার – ওপারের মধ্যে। এই আবহেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের হোটেল এন্ড রেসটুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের হোটেল ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের আপামর জনগণ সহ খোদ রাজ্য সরকার।