আইয়ুব খানের দেখানো পথ ধরেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের রাজনৈতিক বীরত্ব দেখানোর জন্য লম্ফ লম্ফজম্ফ শুরু করেছেন স্বৈরাচারী ইউনূস।
।আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন।(ছবি – সংগৃহীত)
আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে কর্মরত কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ” তারা যথেষ্ট নিরাপদ ও স্বস্তিতে রয়েছেন। তাদের তরফ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ, উৎকন্ঠা নেই।”ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোটা দেশে থাকা বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী।
# অভিজিৎ ঘোষ # ______________ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে “আগরতলার” টিআরপি” বাড়াতে আইয়ুব খানের পথেই হাঁটছেন ইউনূস।১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক মো: আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই মামলার নাম ছিলো “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা” বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূস তাঁর পূর্বসূরি প্রয়াত পাক রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের মতোই আন্তর্জাতিক বিশ্বে আগরতলার প্রচার করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। গত ২রা ডিসেম্বর আগারতলাস্থিত বাংলাদেশ সরকারি হাই-কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলো সনাতনী সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠন।আর তাতেই আতে ঘা লাগে ইউনূস সরকারের। এবং আইয়ুব খানের দেখানো পথ ধরেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের রাজনৈতিক বীরত্ব দেখানোর জন্য লম্ফ লম্ফজম্ফ শুরু করেছেন হিন্দু বিদ্বেষী ইউনূস। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করার পর ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক মোঃ আইয়ুব খানের রাজনৈতিক জীবন ফুরিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে তাকে নিতে হয়েছিল চির বিদায়। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মো: ইউনূসের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের।
আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে পুঁজি করে গোটা বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষী আবহে ঘী ঢেলে দিয়েছে ইউনূসের গুন্ডা বাহিনী।গত ২রা ডিসেম্বরের এই ঘটনার পরের দিন তড়িঘড়ি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ওপারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আচমকা আগরতলা সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা দেয়। এবং সংশ্লিষ্ট অফিসের মূল ফটকে সেটে দেয় নোটিশ। এই নোটিশে নিরাপত্তা জনিত কারণকেই প্রাধান্য দেয় ইউনূসের জামাত – বিএনপি ঘরানার নীতি নির্ধারকরা। অথচ এই ঘটনার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক অত্যন্ত গুরত্বের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। অযাচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সহ সকল অংশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।
।।বিজ্ঞাপন।।
আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে সংঘটিত এই ঘটনা নিয়ে অপরাজনীতিতে মত্ত হয়ে উঠেছে ইউনূস বাহিনী। তারা ঘটনাকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে ফায়দা তুলতে অতিরিক্ত খাটা খাটুনি শুরু করে দিয়েছে।গোটা বাংলাদেশ জুড়ে জঙ্গি জামাত শিবির ও তথাকথিত ষড়যন্ত্রকারী সমন্বয়করা ইউনূসের প্ররোচনায় ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে। যদিও ভারতের কাছে ইউনূসের জঙ্গিদের হুঙ্কার পান্তা ভাতের মতো।
নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে হাইকমিশন অফিস।(ছবি- সংগৃহীত)
বাংলাদেশের রাজনীতিকরা বলছেন, আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসের এই ঘটনার পর ইউনূস বাহিনী নিজেদের অপরাধ আড়াল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। নিজেদের অপরাধকে উহ্য রেখে এটা ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে নিজেদের আরো বেশি করে জড়িয়ে ফেলছে। এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর চালানো অত্যাচারের হাড়হিম করা কাহিনী গুলিকে দুর্গন্ধের ঠোঙ্গায় রেখে সাধার মানুষের চোঁখে গোলক ধাঁধা লাগানোর চেষ্টা করছে। তার জন্য ইউনূস তাঁর গুন্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। শুধু কি তাই, ইউনূস এই ঘটনাকে আর্ন্তজাতিক আঙিনায় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করেছে। আগরতলার ঘটনাকে ভারত বিরোধিতার নতুন এক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
গোটা ভারতে থাকা বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী।
আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে কর্মরত কর্মচারীরা জানিয়েছেন, “তারা যথেষ্ট নিরাপদ ও স্বস্তিতে রয়েছেন। তাদের তরফ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ, উৎকন্ঠা নেই।” ত্রিপুরা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “আগরতলা সহকারী হাইকমিশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো ভাবেই বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিস ও কর্মরত কর্মচারীদের উপর হামলা হুজ্জুতি বরদাস্ত করবে না পুলিশ প্রশাসন।” ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোটা দেশে থাকা বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী।
।।ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা।(ছবি – সংগৃহীত)
আগরতলায় মাথা তুলে দাঁড়ানো বড় বড় শপিংমল গুলি থেকে নিয়মিত শপিং করে থাকেন বাংলাদেশিরা।শপিং করা পণ্য সামগ্রী ওপারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন তারা।
এদিকে, বাংলাদেশী নাগরিকদের বক্তব্য, আগরতলার সহকারী হাইকমিশনার অফিসে ভিসা ও কনস্যুলার সার্ভিস বন্ধ হওয়ার কারণে তারা পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। তারা জানিয়েছেন,চিকিৎসার জন্য তাদের নিয়মিত আসতে হয় ত্রিপুরায়। তাছাড়া আগরতলায় মাথা তুলে দাঁড়ানো বড় বড় শপিংমল গুলি থেকে নিয়মিত শপিং করে থাকেন। শপিং করা পণ্য সামগ্রী ওপারে বিক্রি করে এবং অর্থ উপার্জন করেন। তাই পদ্মা পাড়ের সাধারণ লোকজন চাইছেন, ত্রিপুরা সরকার সহ গোটা ভারতের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসুক ইউনূস সরকার। তাহলে আক্ষরিক অর্থে মঙ্গল হবে সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিকদের।
।।বিজ্ঞাপন।।
মানুষ দেখবে কি গত ৫ আগষ্টের রি-প্লে?
তাদের কথায়,বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গিয়েছেন সুদখোর মহাজন তথা মুক্তি যুদ্ধ বিরোধী ইউনূস। এখনো সময় আছে।অন্যথায় বাংলাদেশে পুনরায় হবে গণঅভ্যুত্থান। মানুষ দেখবে গত ৫ আগষ্টের রি-প্লে।