ইউনূসের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত ভূ-খণ্ডে নাশকতা চালাতে চায় জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ।
খাগড়াগড় কাণ্ডের আঁচ লেগেছিল রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়।খাগড়াগড় কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আগরতলার অরুন্ধতীনগর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এক যুবককে। সে আগরতলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।খাগড়াগড় কাণ্ডের পর এই যুবক পালিয়ে চলে এসেছিল। ধৃত যুবক ছিলো জেএমবি-র স্লিপার সেলের এজেন্ট।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১১ডিসেম্বর।। ভারতের তিন রাজ্যের সীমান্তে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ তথা জেএমবি। সঙ্গে তাদের স্লিপার সেল।আর সেই স্লিপার সেল নিয়ে এবার চিন্তা বাড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা তিন রাজ্য ত্রিপুরা , অসম ও পশ্চিম বাংলার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত ভূ-খণ্ডে নাশকতা চালাতে চায় জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ। এই তথ্য স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার রিপোর্টে। রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারেও।
গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর রাতারাতি ওপারে জঙ্গি সংগঠনগুলির সক্রিয়তা বেড়ে যায় ।এই চিত্র আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে স্পস্ট। এই তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ভারতীয় গোয়েন্দা। বাংলাদেশ জঙ্গিদের অবাধ ঘোরাফেরা মিছিল মিটিং করার বিষয় রাজ্যের একমাত্র সংবাদমাধ্যম হিসেবে জনতার মশাল তুলে ধরেছিল জন সন্মুখে।.
।।বাংলাদেশে প্রকাশ্যে উড়ছে জঙ্গি সংগঠনের পতাকা।।
বাংলার বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের মাধ্যেমে ভারত ভূখণ্ডে প্রচারে এসেছিল জেএমবি।
ভারত ভূ- খণ্ডে বছর দশেক আগে প্রথম প্রচারের আলোতে এসেছিলো জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ তথা জেএমবি। তাও আবার পশ্চিম বাংলার বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের মাধ্যেমে। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান শহর লাগোয়া খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ করেছিলো জেএমবি। তাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছিলো। খাগড়াগড় কাণ্ডের আঁচ লেগেছিল রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। খাগড়াগড় কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আগরতলার অরুন্ধতীনগর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এক যুবককে। সে আগরতলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।খাগড়াগড় কাণ্ডের পর এই যুবক পালিয়ে চলে এসেছিল। ধৃত যুবক ছিলো জেএমবি-র স্লিপার সেলের এজেন্ট। তাকে গ্রেফতারের পর এমনটাই দাবী করেছিলো পুলিশ। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিহারের বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণেও উঠে এসেছিলো জেএমবি-র নাম।
বিজ্ঞাপন (ICA -C- 2808/24)
গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, গত কয়েকমাসে ভারতের সংশ্লিষ্ট এই রাজ্য গুলিতে তাদের জাল বিস্তার করেছে।জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ তথা জেএমবি-র স্লিপার সেল নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দার। গোয়েন্দার রিপোর্ট মোতাবেক, জেএমবি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশের হরকাতুল জিহাদের পুরোনো মডিউলগুলি। গোটা পরিকল্পনায় সমন্বয়কের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির জামায়াতে ইসলামি নেতাদের।
গত ৫ আগস্ট এর পর বাংলাদেশের জেল ভেঙ্গে ফেরার হয়েছে ৭০০ অভিযুক্ত।
সম্প্রতি বাংলাদেশের জেলে থেকে গণহারে বেরিয়ে আসছে জঙ্গি নেতা ও সদস্যরা। শুধু তাই নয়, জেল ভেঙ্গেও এরা বেরিয়ে আসছে।বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট এর পর বাংলাদেশের জেল ভেঙ্গে ফেরার হয়েছে ৭০০ অভিযুক্ত। তাদের সিংহভাগ জড়িত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। তাছাড়া ইউনুস সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭৪ জন জঙ্গিনে তাকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের। মধ্যে রয়েছে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের নেতা ও সদস্য।
।।জঙ্গি জসিম উদ্দীন রহমানী।।
বাংলাদেশে হাসিনার জানায় ৯টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছিল। তবে এখন তারা মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরছে।তাদের মধ্যে অন্যতম জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ, আনসার উল্লা বাংলা টিম,হিজবুত তাহরীর,হরকত উল জিহাদী বাংলাদেশ অর্থাৎ হুজি সহ আরো কিছু দল।
।।বিজ্ঞাপন।।
সব কিছুই নিরাপত্তা কর্মীদের উপর ছেড়ে দিয়ে দায় এড়িয়ে গেলে ক্ষতি হবে নিজেদেরই,বলছে ওয়াকিবহাল মহল।
।ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় অতন্দ্র প্রহরী বিএসএফ।(ছবি – এফবি)
এই সংগঠনগুলির প্রত্যেকটিই জেএমবি-র অফ শুট হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ জেএমবি বিভিন্ন সময়ে এই সংগঠনগুলি তৈরি করেছে। বর্তমানে জেএমবির আতশ কাচের নিচে ভারত ভূখণ্ডের তিন রাজ্য। তবে জেএমবি ও তাদের স্লিপার সেলের এজেন্টদের কার্যকলাপ প্রতিহত করতে সক্রিয় ভারতীয় সেনা, বিএসএফ, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পুলিশ, গোয়েন্দা সহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। তবে সাধারণ মানুষকেও থাকতে হবে সতর্ক। সব কিছুই নিরাপত্তা কর্মীদের উপর ছেড়ে দিয়ে দায় এড়িয়ে গেলে ক্ষতি হবে নিজেদেরই,বলছে ওয়াকিবহাল মহল।