Tripura #Bangladesh #Citizen #Hindu#Janatar#Mashal
” আমাকে মারলেও ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে যাবো না।থেকে যাবো জেলেই”। কাতর আর্জি।

রাতে জঙ্গলে কাটিয়ে তার পর সীমান্ত পেরিয়ে ভোরে ত্রিপুরায় ঢুকেছেন। কমলপুর থেকে অটো করে এসেছিলেন আমবাসা রেল স্টেশনে। সেখান থেকে থেকে ট্রেনে করে অসমের শিলচরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শিলচরে বাড়ি ভাড়া করে ভারতে বসবাস করাই ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।
ডেস্ক রিপোর্টার , আগরতলা।।
“ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা..”
বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা এখন তাদের কন্ঠে এই গান ধরতে ভয় পাচ্ছেন। তারা এখন আর মাতৃভূমিতে থাকতে চাইছেন না। তারা সীমান্তের কাঁটাতার টপকে চলে আসতে চাইছে নিতে পারে। এবং কেউ কেউ মৃতুর ভয়ে চলেও এসেছেন।
তিনি শঙ্কর চন্দ্র সরকার। বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ধানপুর গ্রামে। ত্রিপুরা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ভারতে এসেছেন।কিন্তু ধলাই জেলার আমবাসা থানা এলাকায় তিনি ধরা পড়ে যান। রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই শঙ্করের কাতর আর্জি, ” আমাকে মারলেও ভারত ছেড়ে যাবো না। থেকে যাবো জেলে”।

‘‘বাংলাদেশে আমরা নিরাপদ নই। ক্রমাগত হুমকি আর হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ দায়েরও করা যাচ্ছে না।”
ওপারের নাগরিক শঙ্কর পেশায় অটোচালক। গত ৮ ডিসেম্বর ত্রিপুরায় ঢুকতেই পুলিশের জালে আটকে যান।সঙ্গে তাঁর পরিবারের নয় জন সদস্য।
শঙ্করের সঙ্গে ত্রিপুরায় এসেছেন তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাই এবং বাবা। শঙ্কর চন্দ্র সরকার দাবি করেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আমরা নিরাপদ নই। ক্রমাগত হুমকি আর হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ দায়েরও করা যাচ্ছে না। অটো চালিয়ে রোজগার করি। কিন্তু এখনও তা-ও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।’’ শঙ্কর জানিয়েছেন, রাতে জঙ্গলে কাটিয়ে তার পর সীমান্ত পেরিয়ে ভোরে ত্রিপুরায় ঢুকেছেন। কমলপুর থেকে অটো করে এসেছিলেন আমবাসা রেল স্টেশনে। সেখান থেকে থেকে ট্রেনে করে অসমের শিলচরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শিলচরে বাড়ি ভাড়া করে ভারতে বসবাস করাই ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আমবাসা রেলপুলিশ আধিকারিক পিন্টু দাস জানিয়েছেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রেল স্টেশনে ওত পেতে বসে পুলিশ। তখনই স্টেশনের বাইরের গেটের সামনে একটি অটোতে লোকজন দেখতে পায়। সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁরা জানান যে, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছেন।

শঙ্কর দাসের কথায়, ইউনূসের দেশে হিন্দুরা থাকতে পারবে না।তাদের বাংলাদেশ ছাড়তেই হবে। এখন হাসিনা ক্ষমতায় নেই।আবার যদিও ফিরেও আসেন, তিনি তো চিরদিন থাকবেন না।রাজনীতির পালা বদল হবেই। তখনই হিন্দুদের উপর চলবে নির্যাতনের স্টিমরোল।