ভারতের নতুন শত্রু হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ। শত্রু কিভাবে জব্দ করতে হয়? তারই ব্লু প্রিন্ট-৩৬৫।
সম্প্রতি নয়াদিল্লি ঘোষণা করেছে প্ল্যান ৩৬৫।মোদীর মাস্টার প্ল্যানে আগামী এক বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলাদেশের।দেশটিতে দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ।এই ভবিষ্যৎবাণী আন্তর্জাতিক বিশ্বের কূটনীতিকদের।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৩ ডিসেম্বর।। নতুন এক সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে দেশটি। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া মৌলবাদীদের মাথা চাড়া দেওয়ার বিষয়টি। এরা বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ধংসের দ্বার প্রান্তে।ওপারের ইসলামিক উগ্রপন্থীরা ক্রমাগত হিন্দুদের নিপীড়ন করছে এবং ভারত বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে । প্রতিদিন সারমেয়র মতো ধমকি দিচ্ছে ভারতকে। বাংলাদেশে মৌলবাদীদের প্রভাবে ইউনুস সরকার একেবারেই পঙ্গু।প্রকাশ্যে ঢাকার রাজপথে ঘুরছে জঙ্গিরা।এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বড় সমস্যা ভারতের সামনেও। এবং নতুন শত্রু হিসাবে দিয়েছে মাথা চাড়া। বাংলাদেশের এই চরিত্র বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন ভারতের নীতি নির্ধারকেরা। তাই ওপারের পরিস্থিতির উপর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত । বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে ইউনূস সরকারকে জব্দ করতে নতুন মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ভারত।
সম্প্রতি নয়াদিল্লি ঘোষণা করেছে প্ল্যান ৩৬৫।মোদীর মাস্টার প্ল্যানে আগামী এক বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলাদেশের।দেশটিতে দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ।এই ভবিষ্যৎবাণী আন্তর্জাতিক বিশ্বের কূটনীতিকদের।
ভারতের প্ল্যান ৩৬৫ কি?
অভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প দারুণ উচ্চতা ছুঁয়েছিল। বাংলাদেশে অনেক বিদেশি কোম্পানির টেক্সটাইল অর্ডারে তৈরি হচ্ছিল। চিনের পর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের বৃহত্তম টেক্সটাইল রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সব কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। এখন ভারতের চোখ বাংলাদেশের এই দুর্বল যোগসূত্রের দিকে। আর তাতেই আগামীতে বঙ্গোপসাগরে হাবুডুবু খাবে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার।
।।বিজ্ঞাপন।।
নয়া দিল্লির প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকা সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ তাঁর প্রশাসনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদী ।এই বৈঠকে বাংলাদেশের বস্ত্র রপ্তানিকে লক্ষ্যবস্তু করবে ভারত। বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের বৈদেশিক অর্ডারের অভিমুখ ভারতের দিকে ঘুরিয়ে আনার কৌশল নেবে নয়া দিল্লি।
বর্তমানে বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প নিয়ে অনেক দেশেই অনীহা প্রকাশ করছে। তারা বাংলাদেশ থেকে আর বস্ত্র রপ্তানি করবে না। ইতিমধ্যে ভারত এই বাজার ধরার জন্য সমস্ত পরিকল্পনা করে নিয়েছে। তৈরি রোড ম্যাপ। সেই অনুযায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে ভারতের বস্ত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ তুলে ধরবে নয়া দিল্লি। কূটনীতিকরা বলছেন, ভারতের প্রধান মন্ত্রীর এই স্টেট ড্রাইভে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক রাজনীতির বাউন্ডারির বাইরে ছিটকে পড়বে ইউনূসের দেশ। তখনই গোটা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হবে ভূমিকম্প।
ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বড় বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে ছুড়ে ফেলে দিতে বদ্ধপরিকর নয়া দিল্লি।
মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল রপ্তানি বন্ধ করতে ভারত দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। গোটা বাজার ধরবে ভারত।ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বড় বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে ছুড়ে ফেলে দিতে বদ্ধপরিকর নয়া দিল্লি।
২০২৬- র মধ্যেই বাংলাদেশ ডুবে মরবে বঙ্গোপসাগরে।
কূটনীতিকরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে ভারত তার পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করলে বাংলাদেশের বস্ত্র রপ্তানি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পে নেমে আসতে পারে সুনামি। তখনই দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরো গভীরে প্রোথিত হবে । এই অবস্থায় কাঁচা মাল আমদানি বিলও পরিশোধ করতে পারবে না বাংলাদেশ। বিশ্ব বাজারে ভারত যদি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে তাহলে ২০২৬- র মধ্যেই বাংলাদেশ ডুবে মরবে বঙ্গোপসাগরে। এমন ভবিষ্যদ্বাণী করছেন বিশ্ব বাজারের পর্যবেক্ষকরা। অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভাতে মারার স্ক্রিপ্ট যে রচনা করে ফেলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এতে কোনো সন্দেহ নেই আন্তর্জাতিক বিশ্বের মাতবরদের কাছে।