শুক্রবার দিনভর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আগরতলা সহ আশপাশ অঞ্চলে দফা ওয়ারি অভিযান চালায়।
।নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ইডি’র অভিযান।(ছবি – নিজস্ব)
রাজধানীর এমবিবি ক্লাব এলাকা, বড়দোয়ালি, নন্দননগর, ঊষা বাজার, নরসিংগড়, বনিক্য চৌমুহনি এলাকায় হানা দেয় ইডি। জিরানিয়া, চম্পকনগর, সোনামুড়া, বক্সনগর, উওর কলমচৌড়া সহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবহিক অভিযান চালায় ইডি টিম।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১০ জানুয়ারি।। দেশের মাদক বাণিজ্যের ক্যাপিটাল ত্রিপুরা। ধর্মনগর থেকে সাব্রুম।এবং খোদ রাজধানী আগরতলা মাদক বাণিজ্যের চাইদের অবাধ বিচরণ। মাদক বাজারে উড়ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্য পুলিশ ঠোটো জগন্নাথ। তারা প্রায়শই আটক করে গাঁজা – ফেনসিডিল সহ অন্যান্য মাদক সামগ্রী। তবে পুলিশের রাডারের বাইরে থাকে মাদক কারবারের মান দণ্ড হাতে থাকা কারবারিরা। রাজ্যের এলিট ক্লাসের মাদক কারবারীদের জালে তুলতে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামতে হয়েছে এন্ড ফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শুক্রবার দিনভর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আগরতলা সহ আশপাশ অঞ্চলে দফা ওয়ারি অভিযান চালায়। মূলত আর্থিক অনিয়ম ও মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও সংস্থাগুলিকে টার্গেট করেই এডির এই অভিযান।সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানে, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত কার্যক্রম চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা দিনভর অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারীদের বাড়িঘর থেকে তাদের বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে। তার মধ্যে রয়েছে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র, ব্যাংকের পাসবুক, পাসপোর্ট ইত্যাদি।
রাজধানীর এমবিবি ক্লাব এলাকা, বড়দোয়ালি, নন্দননগর, ঊষা বাজার, নরসিংগড়, বনিক্য চৌমুহনি এলাকায় হানা দেয় ইডি। জিরানিয়া, চম্পকনগর, সোনামুড়া, বক্সনগর, উওর কলমচৌড়া সহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবহিক অভিযান চালায় ইডি টিম।
ইডির একটি সূত্রের দাবি, মাদক ব্যবসায়ী অপু রঞ্জন দাস , বিশু ত্রিপুরা,কামিনী দেববর্মা, তাপস দেবনাথ, ধ্রুব মজুমদার, লিটন সাহার বাড়িতে হানা দেয়।ইডি’ র রাডারে রয়েছে আরো কয়েকজন। তারা প্রত্যেকেই রয়েছে ইডির নজরদারিতে। ইডি’ র অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে গিয়েছে মাদক কারবারের রাঘব বোয়ালরা।
প্রসঙ্গত ত্রিপুরা এখন মাদক কারবারের ট্রানজিট পয়েন্ট।
প্রসঙ্গত ত্রিপুরা এখন মাদক কারবারের ট্রানজিট পয়েন্ট। এখন থেকে নিরাপদে মাদক সামগ্রীর চালান পাঠানো যায় প্রতিবেশী রাজ্য গুলিতে। একই ভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও মাদক সামগ্রী পাচার করা যায় নিরাপদে। কেন্দ্রিয় গোয়েন্দা বারবার এই বিষয়ে সতর্ক করেছে রাজ্য পুলিশকে। কিন্তু, সরিষার মধ্যেই যে ভূত! তাই মাদক মানব বাণিজ্যের টাইকুনরা নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বাণিজ্য।