প্রানতোষ দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে আরো কয়েকজন দল বেঁধে বাইক নিয়ে দুর্গা প্রসন্ন’ র দাদার দোকানের সামনে আসে। বাইক থেকে নেমেই দুর্গ প্রসন্ন – র দাদার দিকে তেড়ে যায়।এবং ক্রমাগত তাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
ডেস্ক রিপোর্টার,১২ জানুয়ারি।। ” ২০ তারিখ আমরার লোকজন জেল থাইক্যা ছাড়া পাইতাছে,এরপর ঠেলা বুঝামো।মন্ডল সভাপতিও আমরার লোক।”
গোটা ঊষা বাজারে এই বুলি আউড়াচ্ছে সমাজদ্রোহীরা। তারা কারা? এরা দুর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকির হত্যাকারী রাজু বর্মন গোষ্ঠীর পান্ডা। রাজুর এই অনুগামীরা দুর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলায় রাডারের বাইরে ছিলো। আর দুর্গা হত্যার রাডারের মধ্যে থাকা ৭-৮ জন এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তকারী পুলিশ তাদেরকে জালে তুলবে বলে মনে হয় না ।কারণ দুর্গা প্রসন্ন হত্যাকাণ্ডের পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার নিয়ে রহস্যজনকভাবে চুপ করে আঙ্গুল চুষছে রাজধানীর পুলিশ।
।।ভিকির দাদাকে হুমকি দেওয়া প্রাণতোষ দাস। (গোলাপী বৃত্তের মধ্যে)
গত ৮ জানুয়ারি রাতে রাজু বর্মন গোষ্ঠীর কয়েকজন সমাজদ্রোহী চড়াও হয়েছিলো ঊষা বাজারস্থিত খুন হওয়া দুর্গা প্রসন্ন দেবের ভাইয়ের দোকানে।সেখানে গিয়ে নিজেদের রাজু গোষ্ঠীর লোকজন পরিচয় দিয়ে তারা দুর্গা প্রসন্ন’ র দাদাকে সাবধান করে দেয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রানতোষ দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে আরো কয়েকজন দল বেঁধে বাইক নিয়ে দুর্গা প্রসন্ন’ র দাদার দোকানের সামনে আসে। বাইক থেকে নেমেই দুর্গ প্রসন্ন – র দাদার দিকে তেড়ে যায়।এবং ক্রমাগত তাকে হুমকি দিতে থাকে। লঙ্কামুড়ার বাসিন্দা প্রাণতোষ দুর্গা প্রসন্ন- র দাদাকে হুমকি দিয়ে বলে, “আগামী ২০ তারিখ সব হিসাব হবে। জেল থেকে আমাদের লোকজন ছাড়া পাবে এদিন।এরপরেই শুরু হবে খেলা।এখন মন্ডল সভাপতিও আমরার লোক।”
প্রশ্ন উঠছে,তাহলে কি রাজু বর্মনের সঙ্গে জেলে থাকা লোকজন ছাড়া পাচ্ছে ?তাছাড়া দুর্গ প্রসন্ন হত্যা মামলায় জড়িত আরো কয়েকজন এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।তাদের মধ্যে রয়েছে রাজু বর্মনের আরেক ভাই দেবব্রত বর্মন, প্রভাকর ঘোষ, সুকান্ত গুপ্ত, অমিত ঘোষ, বিমান দাসের মতো দাগি অপরাধীরা।
সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনকে কি গার্ড করছেন বিজেপির দুই নেতা রাজীব – রতন? (ফাইল – ছবি)
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য,, রাজু বর্মনের লোকজন আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে ঊষা বাজারে।অভিযোগ, বর্তমান বড়জলা কেন্দ্রের মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিলো রাজু বর্মনের।তখন রাজীব সাহা ছিলো বড়জলা মন্ডলের যুবমোর্চার সভাপতি। তারা এক সঙ্গে বহু ফটো সেশনও করেছিল।
।।রাজু বর্মনের সঙ্গে এক ফ্রেমে মন্ডল সভাপতি।(ফাইল – ছবি)
স্বাভাবিক ভাবেই রাজীব সাহা এখন মন্ডল সভাপতি হওয়াতে রাজু গোষ্ঠী পায়ের নিচে জমি খুঁজে পাচ্ছে। তাই জেলের বাইরে থাকা রাজুর গোষ্ঠীর লোকজন এখন ভুগছে আত্মতুষ্টিতে। সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন ও মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহার অতীতের গোপন কেমিস্ট্রি. কেমন ছিলো? এই প্রতিবেদনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত ছবিও সেটে দেওয়া হয়েছে।