বিজেপির বিরুদ্ধে তিপ্রামথার আন্দোলনের স্ক্রিপ্ট লিখছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। এটা ওপেন সিক্রেট।
“রাজ্যে একটি চক্র ফের সন্ত্রাস সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।সরকার এই ধরনের কার্যকলাপ মেনে নেবে না। শান্ত ত্রিপুরাকে কেউ অশান্ত করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।”- মুখ্যমন্ত্রী।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৫ ফেব্রুয়ারি।। তিপ্রাসা চুক্তি নিয়ে বিজেপি সরকারের উপর স্নায়ুর চাপ বাড়ানোর ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে শরিক বন্ধু তিপ্রামথা। গোটা চিত্র নাট্যের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিপ্রামথায় প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। সম্প্রতি প্রদ্যুৎ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ” আলোচনার মাধ্যমে তিপ্রাসা চুক্তি সম্পন্ন না হলে সৃষ্টি হতে পারে উগ্রবাদ।তখন দায় এড়াতে পারবে না সরকার।” প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্যের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পাল্টা হুমকি দিয়েছেন।সম্প্রতি তিনিও জিরানিয়াতে পরিবহন দপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে তিপ্রামথা বা প্রদ্যুৎ কিশোরের নাম না করেই বলেন, ” রাজ্যে একটি চক্র ফের সন্ত্রাস সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।সরকার এই ধরনের কার্যকলাপ মেনে নেবে না। শান্ত ত্রিপুরাকে কেউ অশান্ত করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে নিজেদের গায়ে মেখে নিয়েছে তিপ্রামথা। বড় শরিক বিজেপিকে চাপে ফেলতে তিপ্রামথা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করার কর্মসূচি নিয়েছে। এর অঙ্গ হিসাবে শনিবার ছাওমনু বিধানসভা কেন্দ্রে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করেন।নেতৃত্বে ছিলেন এডিসি হংস কুমার ত্রিপুরা। হংস কুমার ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে হুমকি দিয়ে বলেন, ” রাজ্যে তিপ্রামথাকে বাদ দিয়ে কোনো দল সরকার গঠন করতে পারবে না। বিজেপি তিপ্রামথা ও প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে ছলনা করছে।”
হংস কুমার হুমকির সুরে বলছেন, বিজেপি যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিপ্রাসা চুক্তি সম্পন্ন না করে, তাহলে সমস্যা বাড়বে।হংস তাঁর বক্তব্যে যোগ করেন, “২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে মথার জন্য।তবে মথার নেতৃত্ব বারবার ভুল করবে না। সামনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কড়াই – গন্ডায় হিসাব নেবে তারা।”
।।তিপ্রাসা চুক্তির উপপাদ্য।।
তিপ্রাসা চুক্তি সম্পন্ন না হলে, আইপিএফটির কায়দায় তিপ্রামথাও আন্দোলন শুরু করবে।
ভারতীয় জনতা পার্টি ও মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ২০১৭ সালে আইপিএফটি বড়মুড়াতে টানা আন্দোলন করে তৎকালীন বাম সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিলো। তিপ্রাসা চুক্তি সম্পন্ন না হলে, আইপিএফটির কায়দায় তিপ্রামথাও আন্দোলন শুরু করবে।ঘুরিয়ে বললে, প্রদ্যুৎ কিশোরের স্ক্রিপ্ট মোতাবেক এডিসি হংস কুমার ত্রিপুরা আগামী দিনে তিপ্রামথার ব্লু প্রিন্ট খোলসা করে দিয়েছেন। হংস’ র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সামনের দিনে তিপ্রাসা চুক্তি ইস্যুতেও বিজেপি – তিপ্রামথা দুই শরিকের সংসারের “উত্তাপ” যে বহুদূর ছড়িয়ে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।