গত ১ মার্চ রাজ্য সরকারের উপসচিব পৃথ্বীরাজ দেবনাথ এই নির্দেশাবলীতে স্বাক্ষর করেছেন।
।রাজ্য সরকারের নোটিশ।
রাজ্যে সরকারের অর্থ দপ্তরের জারি করা নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, ‘ বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন সংবাদ পত্র সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।’ তবে বিজ্ঞাপনকারী প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে বিজ্ঞাপন জারি করতে পারে।তাতে কোনো বাধা নেই।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩মার্চ।। রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের উপর নেমে আসছে সুনামী! পরিস্হিতি হয়ে উঠতে পারে ভয়াবহ।রাজ্য অর্থ দপ্তরের জারি করা এক নির্দেশাবলী প্রকাশের পর এমনটাই মনে করছে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত লোকজন। রাজ্যে সরকারের অর্থ দপ্তরের জারি করা নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, ‘ বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন সংবাদ পত্র সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।’ তবে বিজ্ঞাপনকারী প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে বিজ্ঞাপন জারি করতে পারে।তাতে কোনো বাধা নেই।” গত ১ মার্চ রাজ্য সরকারের উপসচিব পৃথ্বীরাজ দেবনাথ এই নির্দেশাবলীতে স্বাক্ষর করেছেন। এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় ও মুখ্য সচিব জে কে সিনহাকে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক , দপ্তরের প্রধান সহ জেলা শাসক, মহকুমা শাসকদের এই নির্দেশাবলী সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।
নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা পণ্য সংগ্রহের ম্যানুয়াল, পরামর্শ ও অন্যান্য পরিষেবা সংগ্রহের ম্যানুয়াল এবং কর্ম সংগ্রহের ম্যানুয়াল, রাজ্য অর্থ দপ্তরের কাছে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে জারি করা দরপত্র আহ্বানের ( টেন্ডার) বিজ্ঞপ্তি, প্রস্তাবের অনুরোধ আগ্রহ প্রকাশ সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়েছে।
।প্রতীকী ছবি।
এখন থেকে টেন্ডার সংক্রান্ত সব রকমের বিজ্ঞাপন কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের পোর্টালে দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এই সংশোধনী অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তর, স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এখন থেকে তাদের টেন্ডার সংক্রান্ত সব রকমের বিজ্ঞাপন রাজ্য সরকারের পোর্টাল www.tripuratenders.gov.in‘তে আপলোড করতে হবে।দেশব্যাপী প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টাল www.eprocure.gov.in-এ প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে কোনো সংবাদ পত্র বা সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া বাধ্যতা মূলক না। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি মনে করে তাহলে দিতে পারে। তার জন্য কোনো বাধ্য বাধকতা নেই।
রাজ্যের সংবাদ পত্র, ওয়েব পোর্টাল গুলিতে মূলত টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনই থাকে ৯৫ শতাংশ।
রাজ্য অর্থ দপ্তর এই নির্দেশ জারি করার পর রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।কারণ রাজ্যের সংবাদ পত্র, ওয়েব পোর্টাল গুলিতে মূলত টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনই থাকে ৯৫ শতাংশ। মূলত সরকারী বিজ্ঞাপনের দেওয়া অর্থেই পরিচালিত হয় সংবাদ মাধ্যমগুলি।প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ত্রিপুরার মতো একটা ওয়েলফেয়ার স্টেটে সংবাদ মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে ধাক্কা লাগবে? না, কি রাজ্যের বিজেপি লিড সরকার স্বাভাবিক নিয়মেই সংবাদ মাধ্যম গুলিকে প্রদান করে যাবে বিজ্ঞাপন? অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তরের ধোঁয়াশা কাটে নি এখনো।