গোটা রাজ্যে সন্ত্রাসবাদীরা ফের নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। একেবারে নতুন নামাকরনে।তার আগে জঙ্গিরা রাজ্যের প্রান্তিক অঞ্চল গুলিতে মজুত করছে আগ্নেয়াস্ত্র। সম্প্রতি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দেওয়া এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই ভয়ানক তথ্য। এই সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজ্য পুলিশও। তারা গোপনে অস্ত্রের চালান রাজ্যে আনার জন্য ব্যবহার করছে মহিলাদের।
#সন্ত্রাসবাদের অলীক স্বপ্নে বিভোর যুবকরা সংঘবদ্ধ হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজেক হিলে।
# এরা ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনিয়াস ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছে।
# এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত যুবকরা মায়ানমার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ শুরু করেছে।
# জঙ্গির মায়ানমার থেকে অস্ত্র – গোলাবারুদ নিয়ে আসছে মিজোরামে।
।।বিজ্ঞাপন।।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের অলীক স্বপ্নে বিভোর যুবকরা সংঘবদ্ধ হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজেক হিলে। এরা ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনিয়াস ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছে। এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত যুবকরা মায়ানমার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ শুরু করেছে। এরা মায়ানমার থেকে অস্ত্র – গোলাবারুদ নিয়ে আসছে মিজোরামে।সেখান থেকে মিজোরাম সীমন্ত ডিঙ্গিয়ে অস্ত্রের চালান সোজা চলে আসছে রাজ্যে। অস্ত্রের চালান আনার জন্য জঙ্গিরা ব্যবহার করছে মহিলাদের।
ত্রিপুরা – মিজোরাম সীমান্তে নব রূপে দশরথ সেতু দামছড়াতে। ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে পুরানো লোহার সেতু (ছবি – নিজস্ব)
জঙ্গিদের নেটওয়ার্কে থাকা জনজাতি মহিলাদের নিয়ে যাওয়া হয় মিজোরামে।সেখানেই ব্যাগের মধ্যে অস্ত্র, গোলাবারুদ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। মহিলারা সেই অস্ত্র, গোলাবারুদ বোঝাই ব্যাগ নিয়ে মিজোরাম সীমান্ত টপকে চলে আসে রাজ্যে। বিশেষ ভাবে জঙ্গিরা তাদের অস্ত্রের মজুত ভান্ডার গড়ার জন্য বেছে নিয়েছে উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর ও দামছড়ার ত্রিপুরা – মিজোরাম সীমান্ত। গত কয়েকমাস ধরেই জঙ্গিরা তাদের নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে।
মহিলারা সেই অস্ত্র, গোলাবারুদ বোঝাই ব্যাগ নিয়ে মিজোরাম সীমান্ত টপকে চলে আসে রাজ্যে।
।।বিজ্ঞাপন।।
সম্প্রতি মিজোরামের লুংলেই জেলায় বিএসএফ ও মিজো পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে এক বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র , গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক মহিলা সহ তিন যুবককে।যৌথ বাহিনী উদ্ধার করেছিল একে সিরিজের সাতটি রাইফেল।৬ হাজার দুইশ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। আঠারশ মিটার কর্ডেক্স, ছয়শ ডেটোনেটর, সাতটি হ্যান্ড গ্রেনেড, রিভলবার, ২০ মিটার সেফটি ফিউজ ও জিলোটিন স্টিক।
।।উদ্ধারকৃত অস্ত্র।।(ছবি – সংগৃহীত)
বিএসএফ ও মিজোরাম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, মূলত অস্ত্রগুলি ত্রিপুরাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল। কাঞ্চনপুর ও দামছড়ার গোপন জায়গাতে মজুত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনিয়াস ফ্রন্ট’র সদস্যরা।
।মিজোরামে ধৃত অস্ত্র কারবারি।(ছবি – সংগৃহীত)
মূলত ত্রিপুরায় অস্ত্রগুলিকে পাচারের সময় জনজাতি মহিলাদের ব্যবহার করে জঙ্গিরা। পরবর্তী সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা করেছিলো রাজ্য পুলিশের কাছে।