ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ ডিসেম্বর।।
” গুঁড়িয়ে দাও,ভেঙে দাও।আগুন লাগিয়ে দাও।—-এখন রাজ্যে আর এই সমস্ত ধ্বংসাত্মক
স্লোগান শুনা যায় না।এই মুহূর্তে রাজ্যে বিরাজ করছে শান্তির পরিবেশ।নেই হানাহানি,মারামারি।”—-বক্তা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলা রবীন্দ্র ভবনে “নিবেদিতা ভলেন্টারি অর্গানাইজেশন” ও “জনতার মাশাল”র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শারদ সন্মান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের প্রধান অথিতি রতন চক্রবর্তী তাঁর ভাষণে বলেন, এক সময় রাজ্যের অস্থিরতা কায়েম রাখার জন্য প্রকাশ্যে গুঁড়িয়ে দাও,ভেঙে দাও স্লোগান দিয়ে থাকতো।এই সমস্ত উগ্র স্লোগান মানুষের মনে বিরাজ করতো আতঙ্ক।এখন অবশ্যই বদল ঘটেছে পরিস্থিতির।
শারদ উৎসবের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন,কোভিড পরিস্থিতির কারণে মানুষ গত দুই বছর শারদ উৎসবে আনন্দ করতে পারেনি মন খুলে।তবে কোভিড এখন প্রায় উধাও।তারপরও থাকতে হবে সতর্ক। আগামী দিনগুলিতে কোভিড মুক্ত পরিবেশে মানুষ মন খুলে আনন্দ করতে পারবে। অধ্যক্ষের কথায়, দুই আয়োজক সংস্থা নিবেদিতা ও মশাল’র নাম থেকেই দুইটি সংস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।মশাল জ্ঞানের আলো,শিক্ষার আলো,সমাজ পরিবর্তনের আলো জ্বালিয়ে চলছে।আর “নিবেদিতা”নামের মধ্য দিয়ে বুঝা যায় সমাজের সেবায় নিয়োজিত এই সংস্থা।”নিবেদিতা ভলেন্টারি অর্গানাইজেশন” ও “জনতার মাশাল”র এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী।সম্প্রতি ইউনেসকো দুর্গাপূজাকে মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ” হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাতে শারদ উৎসব গুলিতে বাঙালির আরো দায়িত্ব বেড়ে গেছে বলেই মনে করেন তিনি।
শারদ সন্মান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত। মা দুর্গার প্রসঙ্গ টেনে ডেপুটি মেয়র মায়েদের লড়াই-সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন তিনি।
শারদ উৎসব কেন্দ্র করে কিভাবে ব্যবসার প্রসার ঘটে তারই বর্ণনা দিলেন রাজ্যে শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়।তিনি বলেন,শারদ উৎসবের ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে থাকে।অর্থাৎ একটা উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষ যে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারে তারই ব্যাখ্যা দিলেন শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের অথিতি তথা রাজ্য খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য।তিনি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতে যে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য রয়েছে, তা তুলে ধরেন।তিনি বলেন, এক সময়ে রাজ্যের ক্লাব সংস্কৃতি ছিলো জঘন্য।এখন ক্লাবগুলিতে একটা সুন্দর পরিবেশ ফিরে এসেছে।
শারদ সন্মান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনতার মশাল’র সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ।তিনি বলেন,এই অনুষ্ঠান আরো আগেই করার ইচ্ছা ছিলো।কিন্তু পুর ও নগর ভোটের কারণে অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে হয়েছে।অভিজিৎ ঘোষের বক্তব্যেও উঠে আসে দুর্গা পূজাকে ইউনেসকোর স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিও।
