ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ জানুয়ারি।।
” মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজ্যের জাতি-উপজাতিদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানো চেষ্টা করছে কমিউনিস্টরা। এটা কমিউনিস্টদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এর আগেই একই কায়দায় নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে রাজ্যে জাতি-উপজাতির অশান্তির সৃষ্টি করেছিলো।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।এই জন্যই তিপ্রামথা বিজেপি’র হাত শক্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।”—-বক্তা রাজ্য সরকারের তথ্য- সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজ্য মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বামেরা এখন রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।তারা চলতে চাইছে মিথ্যার উপর ভিত্তি করে। এই কারণেই তিপ্রামথা ও বিজেপিকে এক মঞ্চে এনে বাঙালি ভোটে দখল নিতে চাইছে সিপিআইএম। বামেদের এই অঙ্ক সফল হবে না।মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, এডিসি নির্বাচনে তিপ্রামথা ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।এডিসি’র বিরোধী দল বিজেপি।আর বামেরা এডিসি নির্বাচনে পাহাড় থেকে বিলীন হয়ে গেছে। সুতরাং সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকের কথা সম্পূর্ন মিথ্যা।
২০০৩, ২০১৩,২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও বামেরা রাজ্যে জাতি-উপজাতির মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছিলো বলে তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সুশান্ত চৌধুরী বামেদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, ” এখন মানিক সরকার-জিতেন্দ্র চৌধুরীদের কৃষক প্রেম উঁকি দিয়েছে। অথচ বাম জামানায় কৃষকদের হাতে লাল ঝান্ডা ধরিয়ে দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হতো।বিজেপি সরকার রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে বৎসরে দুই বার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে।কিন্তু বামেরা ২৫ বছরে এই উদ্যোগ না নিয়ে, কৃষকদের সামনে রেখে রাজনীতি করেছে। কৃষক সন্মান নিধি থেকে শুরু করে ফসল বীমা সবেতেই বিজেপি সরকারের হাত।”
বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা পাঁচ থেকে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বন্টন করছে বেনিফিসিয়ারীদের মধ্যে। এই অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। বামেদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বিজেপি সরকারের জামানায় এমন কোনো নজির নেই। যদি কোনো সুবিধাভোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে পুলিশকে জানানো উচিত।কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনা নেই।বরং বাম জামানায় ঘর পাওয়ার জন্য গরীর মানুষকে মাইলের পর মাইল হাটতে হতো দলের মিছিলে,হাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে রাজ্যের দেড়লাখ মানুষকে এক সঙ্গে ঘরের জন্য ৭০৯কোটি টাকা দিয়েছেন।প্রত্যেক বেনিফিসিয়ারী পেয়েছে প্রথম কিস্তির ৪৮হাজার টাকা করে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, বর্তমানে দেশে জিডিপি “মাইনাসে” চলে এসেছে। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সুশান্ত চৌধুরী বলেন, এই তথ্য সম্পুর্ন ভুল। কোভিডকালে গোটা বিশ্বে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছিলো।ভারতের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। দুর্বল ভারতীয় অর্থনীতির কথা স্বীকার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও।কিন্তু বর্তমানে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে।বাড়ছে জিডিপি রেট। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, চীন থেকে অনেক বেশি সুঠাম ভারতীয় অর্থনীতি(জিডিপি রেট ৯শতাংশ)।
রাজ্যের তথ্য মন্ত্রীর দাবি, বামেরা এখন রাজনৈতিক ভাবে পুরোপুরি ভাবে দেউলিয়া।তাই দিশেহারা হয়ে মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কালিমালিপ্ত করতে চাইছে শাসক দল বিজেপিকে।একই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকেও।
