ডেস্ক রিপোর্টার,৪ফেব্রুয়ারি।।
প্রদেশ বিজেপি’র গাড়ি বা ব্যক্তিগত গাড়ি কোনোটাই নয়। পরিবর্তে সফর করলেন রেলে।গেলেন আগরতলা-কুমারঘাট।আবার আগরতলায় এলেন ফিরে।
তিনি আর কেউ নন।রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি ডা:মানিক সাহা।সভাপতির চালচলনে নেই “কর্পোরেট”র ছোঁয়া।একে বারেই সাদাসিধা।বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির সুপ্রিমো ডা: মানিক সাহা দলীয় কাজে গিয়েছিলেন কুমারঘাটে।তিনি গাড়ির পরিবর্তে সফর করেন রেলে।আগরতলা থেকে তিনি রেলে চড়ে যান কুমারঘাটে।
প্রদেশ সভাপতি তাঁর এই সফরের মধ্য দিয়েই রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন । বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন,” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরাকে ব্রডগেজের সঙ্গে যুক্ত করে ছয়টি এক্সপ্রেস ট্রেন, একটি করে কিষান ট্রেন ও ডেমো ট্রেন উপহার দিয়েছেন। যে দূরত্ব অতিক্রম করতে আগে ৪ঘন্টা সময় লাগতো,এখন তা অতিক্রম করতে সময় লাগে ১ঘন্টা ৩০মিনিট থেকে ১ঘন্টা ৪৫মিনিট। এটাই পরিবর্তন।”
প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি ডা: মানিক সাহার দাবি করেছেন, রাজ্যে আরো আটটি জাতীয় সড়কের কাজ চলছে। কাজ সম্পন্ন হলে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাবে। আরো উন্নত হবে মানুষের জীবন-জীবিকার মান।
রাজনীতিকরা বলছেন, প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি রেল সফর করে এক সঙ্গে দুইটি বার্তাই দিয়েছেন। প্রথমটা তিনি রাজ্যের রেল পরিষেবার মান উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।বুঝিয়েছেন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সফলতা। একই সঙ্গে তিনি গাড়ির পরিবর্তে রেলে চড়ে দলীয় নেতাদের ব্যায় সংকোচন নীতির দিকে ধাবিত করার বার্তা দিয়েছেন। বিজেপি’র অন্দরে খবর, দলের একাংশ নেতা দলের দেওয়া গাড়ি নিয়ে কাজে অকাজেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।মুহূর্তে মুহূর্তে চক্কর কাটছেন শহরে।অথচ তারা দলের জন্য “বোঝা” ছাড়া কিছু নয়।সামনেই বিধানসভা ভোট।দলের কিছু নেতার অকারণে কর্পোরেট চলন-বলন বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।তাই সাধু সাবধান।
