ডেস্ক রিপোর্টার,৩ফেব্রুয়ারি।।
হঠাৎ থমকে গেলো যুব কংগ্রেসের সভাপতি ঘোষণার প্রক্রিয়া।নিয়ম মেনেই হয়েছিলো নির্বাচন।নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলো ছয়জন।কংগ্রেসের খবর অনুযায়ী, ৬৪শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে তন্ময় চক্রবর্তী।এই দৌড়ে রয়েছেন রাকু দাস, অনুপম পাল সহ আরো তিনজন।তবে,আচমকা ছয় প্রার্থীকে দিল্লীতে তলব করেছে কংগ্রেসের হাইকমান্ড।আগামী ৫ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের দিল্লীতে যাওয়ার কথা রয়েছে।সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
পোস্টঅফিস চৌমুহনীর সাদা বাড়ির খবর, নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারি মাসেই যুব কংগ্রেসের সভাপতির নাম ঘোষণা করার কথা ছিলো।কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কংগ্রেসের হাইকমান্ড যুব কংগ্রেসের সভাপতির নাম ঘোষণা করে নি। কংগ্রেস রাজনীতিকরা বলছেন, এই মুহূর্তে কংগ্রেস রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসতে চলছে।বিজেপি’র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন চলতি মাসেই যোগ দেবেন কংগ্রেসে। তাই নাকি যুব কংগ্রেসের সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করছে এআইসিসি।
সুদীপ-আশীষরা কংগ্রেসে যোগ দিলে তাদের হাতেই দেওয়া হবে ব্যাটন।স্বাভাবিক ভাবেই প্রদেশ কংগ্রেসের খোলনলচে পরিবর্তন করবেন সুদীপ-আশীষ।তখন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিটি শাখা সংগঠনকে তারা সাজাবেন।সংগঠনকে মজবুত করার স্বার্থে যুব কংগ্রেস থেকে শুরু করে মহিলা কংগ্রেস।জেলা ও ব্লক কমিটি সবেতেই সুদীপ-আশীষকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে।চাওয়া হবে তাদের মতামত।এই কারণেই এখন পর্যন্ত যুব কংগ্রেসের সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে না কংগ্রেসের হাই-কমান্ড। সুদীপ-আশীষরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরই তাদের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে এআইসিসি যুব কংগ্রেসের সভাপতির ঘোষণা করবে।এমন খবর ভেসে আসছে পোস্টঅফিস চৌমুহনীর সাদা বাড়ির অন্দর মহল থেকে।তবে নির্বাচনে এগিয়ে থাকা তন্ময় চক্রবর্তীর পালাই ভারী।কংগ্রেসের যুবাদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি, কিন্তু রয়েছে।
প্রসঙ্গত এবারের যুব কংগ্রেসের সভাপতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন অনুপম পাল। এই অনুপম এক সময় শাসক দল বিজেপি’র আইটি সেলের দায়িত্বে ছিলেন।এবং নিজেকে “চলো পাল্টাই” স্লোগানের স্রষ্টা বলে দাবি করেন।গত বছর দেড়েক আগে বিজেপি’র সঙ্গে অনুপমের দূরত্ব বাড়ে।সেই বিজেপিকে আলবিদা জানিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে অনুপম নিজেকে সুদীপ অনুগামী বলেই জাহির করতে থাকেন।এই অনুপম পাল যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে লড়াই করার বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে।
