ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ফেব্রুয়ারি।।
রাজ্যে কংগ্রেস-বিজেপি’র সংঘর্ষের ঘটনায় আন্দোলিত হয়ে উঠেছে দেশের রাজধানী। ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে সরব সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস। রাজ্যের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ইস্যুতে এআইসিসি’র সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রবিবার এআইসিসি’র সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে তির্যক ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেত্রী আলকা লাম্বা। আলকার অভিযোগ, “ত্রিপুরাতে নেই আইনের শাসন।নেই গণতন্ত্র।হিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। বিজেপি’র দুষ্কৃতীরা সরাসরি হামলা করেছে কংগ্রেসের সভায়।এবং কংগ্রেস ভবনে।”
আলকা লাম্বার বক্তব্য, পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেসের যোগদান সভায় হামলা করেছে বিজেপি।এরপর বিজেপি’র দুষ্কৃতীদের রোষে পরে আগরতলার কংগ্রেস ভবন।এখানেই হামলা করে বিজেপি’র লোকজন।পুলিশ ছিলো ঠুঁটো জগন্নাথ। পুলিশের সামনেই রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলা হয় কংগ্রেস ভবনে।কিন্তু পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।বরং আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠে পুলিশ। কংগ্রেস ভবন লক্ষ্য করে ছুড়ে টিয়ার গ্যাস।কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। করা হয় গ্রেফতার। মহিলা কংগ্রেস নেত্রীদের পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে।অথচ আক্রমণকারী বিজেপি’র দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী আলকা লাম্বা বলেন, গত ২৩ফেব্রুয়ারি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ’র কনভয়েও পরিকল্পিত ভাবে হামলা হয়।যদিও বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি।একই দিনে গোলাঘাটিতে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহার উপর হামলা চালানো হয়।এই দুই প্রাক্তন বিধাায়ক বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
আলকা লাম্বা বলেন, গোটা দেশের মতো রাজ্যেও বিজেপি পায়ের নিচের জমি হারাচ্ছে।তাই আতঙ্ক থেকে কংগ্রেস নেতা- কর্মীদের হামলা শুরু করেছে।ত্রিপুরার মানুষ বিজেপি’র এই সন্ত্রাস মেনে নেবে না। জাতীয় কংগ্রেস রাজ্যের মানুষের পাশে থেকে বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে দাবি লাম্বার।
