ডেস্ক রিপোর্টার,৩মার্চ।।
অনলাইন গেম “স্পোর্টস ফ্যান্টাসি -১১” র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত সংস্থার পরিচালক আঁচলকে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।বুধবার আঁচলকে আদালতে সোপর্দ করেছিলো পুলিশ।আঁচলের বিরুদ্ধে ৫৮লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।তদন্তকারী ক্রাইম ব্রাঞ্চের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আঁচল কি তথ্য উগলে দেয় তাই এখন দেখার বিষয়।
বাস্তব অর্থে স্পোর্টস ফ্যান্টাসি -১১” একটি চিটফান্ড সংস্থা। স্পোর্টস ফ্যান্টাসি -১১ অনলাইন গেমের মাধ্যমে কুশীলবরা চিটফান্ড সংস্থা পরিচালনা করতো। এই সংস্থার বিরুদ্ধে গত বছরের ১৯নভেম্বর আগরতলার পূর্ব থানায় একটি মামলা(১৩৬/২০) দায়ের করে প্রতারিত লোকজন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে। পরে গুরুত্ব বুঝে মামলাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে স্থানান্তরিত হয়। মামলার তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিএসপি জয়ন্ত কুমার রায়।মামলার তত্ত্বাবধায়ক আধিকারিক ছিলেন ডিএসপি অজয় কুমার দাস।
রাজ্য পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তদন্ত শুরু করতেই “স্পোর্টস ফ্যান্টাসি -১১”-র প্রতারণার পুকুর প্রকাশ্যে চলে আসে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ সংস্থার পরিচালক আঁচলকে গ্রেফতারের জন্য জাল বিস্তার করে। আঁচলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বিষয়টি জানানো হয়েছিলো ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোকে। রাজ্যে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আঁচলের গতি বিধির উপর নজর রাখছিল।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জানতে পারে আঁচল দুবাইয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।সেই অনুযায়ী ফাঁদ পাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা।আঁচল দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসে পাঞ্জাবের অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। তখনই বিমান বন্দরে উৎ পেতে বসে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা “ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র (আইবি) আধিকারিকরা আঁচলকে গ্রেফতার করে।
এবং তাকে রাজ্য পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে হস্তান্তর করে। গত ১মার্চ আঁচলকে ট্রানজিট রিমান্ডে পাঞ্জাব থেকে আগরতলায় নিয়ে আসে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাকে রাখা হয়েছিলো পশ্চিম মহিলা থানার লকআপে।
