ডেস্ক রিপোর্টার,৫ মার্চ
“বাইক বাহিনী” নিয়ে সমস্যায় আছে প্রদেশ বিজেপি। “রাজ্য জুড়ে বিজেপি’র বাইক বাহিনী জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।” অভিযোগ বিরোধীদের। বাইক বাহিনী বা হ্যালমেট বাহিনী নিয়ে চাপ বাড়ছে বিজেপি’র অন্দরেও। বিজেপি নেতৃত্ব বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে ‘বাইক বাহিনী’ আগামী দিনে বেকায়দায় ফেলতে পারে দলকে।এই কারণেই সতর্ক হয়েছে গেরুয়া নেতৃত্ব।
বিজেপি’র অন্দর মহলের বক্তব্য, বাইক বাহিনীতে কিছু অত্যুৎসাহি লোকজন রয়েছে।তারা মূলত সমস্যা সৃষ্টি করছে। তারা হামলা-হজ্জুতি করার পর বদনাম কমাতে হচ্ছে দলকে। রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা যে নেতৃত্বের নির্দেশে হয়েছে তা নয়। দলের কিছু
অত্যুৎসাহি কর্মী -সমর্থক নেতৃত্বের অগোচরে কিছু ঘটনা করেছে।তাতে নাক কাটা গেছে শীর্ষ নেতৃত্বের।বাইক বাহিনী নিয়ে রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সাফাই, “এরা দলের সৈনিক।দলের জন্য কাজ করছে।” যথার্থই বলেছেন মন্ত্রী।বাম জমানাতেও ছিলো বাইক বাহিনী।কিন্তু বিজেপি’র বাইক বাহিনীর নাম করে কিছু ধান্ধাবাজ লোক দলের নামকে কালিমালিপ্ত করছে। পাড়া বা মহল্লার সাধারণ কিছু ঘটনা,যা কিনা একান্ত ব্যক্তিগত, এই সমস্ত ঘটনাকে ইস্যু করে বেশ কয়েকটি হামলা হজ্জুতির ঘটনা সামনে এসেছে।এখানে দলের কোনো নির্দেশ নেই। অথচ দল সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে।বিরোধীরা রাজনীতির জন্য এটাকেই ইস্যু করেছে।
রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী স্পস্ট করে পৃথক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, বাইক বাহিনীর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।অর্থাৎ যারা হামলা করেছে বিজেপি’র নাম ভারিয়ে তাদের উদ্দেশ্যেই একথা বলেছেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি’র প্রদেশ সভাপতি ডা: মানিক সাহা বলেছিলেন, বিজেপি শান্তি প্রিয় দল।দলের কেউ হামলা হজ্জুতি করে না।আসলে কিছু স্বার্থনেশি মানুষ দলের নামে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ঘটনা করেছে।তার জন্যই বাইক বাহিনীর প্রতি মানুষের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিগত কিছুদিন আগে একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিলো মুখ্যমন্ত্রীকে।মুখ্যমন্ত্রী সটান বলে দিয়েছেন, বাইক চালালে হ্যালমেট ব্যবহার করবেই। কোনো ব্যক্তি হ্যালমেট মাথায় দিয়ে কিছু করবে, তার দায়ভার দল নেবে না।তার জন্য আছে পুলিশ প্রশাসন।অপরাধ হলে পুলিশ দেখবে।অন্তত এমনটাই বুঝাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি সরকারের চতুর্থ বর্ষ উপলক্ষ্যে সারা রাজ্যে বাইক মিছিল করেছে বিজেপি।কিন্তু কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নেই।কারণ দলীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে হয়েছিলো প্রতিটি বাইক মিছিল। প্রত্যেকটি মিছিল ছিলো সুসংঘটিত। সাব্রুম থেকে ধর্মনগর, সব জায়গাতেই যথেষ্ট সুশৃঙ্খল ভাবে হয়েছে শাসক দলের বাইক মিছিল।
কৃষ্ণনগর গেরুয়া বাড়ির সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্ব পরিষ্কার ভাবে কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিয়েছে বিজেপি সুশৃঙ্খল দল।এখানে অশান্তির কোনো জায়গা নেই।যারা দলের নাম ভারিয়ে ঘটনা সংঘটিত করবে তাদের সনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারণ দলীয় নেতৃত্ব কাউকে অনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য নির্দেশ দেয় না। স্বাভাবিক ভাবেই দলও হামলা-হজ্জুতি বরদাস্ত করবে না। তাই দলের সর্ব স্তরের নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
