ডেস্ক রিপোর্টার,১০মার্চ।।
দেশীয় রাজনীতির সেমিফাইনালের ‘হার্ডেল’ নিশ্চিত ভাবে টপকে গেলো ভারতীয় জনতা পার্টি। এই বিশাল জয় গোটা দেশে ২৪-র জন্য নতুন বার্তা দিলো মোদী-শাহ-যোগী জুটি।
সেমিফাইনালে বিজেপি’র এই বিজয় রাজ্য রাজনীতির অলিন্দকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মনিপুর ও গোয়া ডাবল ইঞ্জিন সরকার।ত্রিপুরাতেও একই অবস্থা।আগামী বছরের গোড়াতে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই সেমিফাইনালের ব্যাপক প্রভাব যে রাজ্যে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও আছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া।আছে অন্তর্কোন্দল। এই বিষয়গুলিকে কাজে লাগিয়ে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম সহ কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বিরোধী হওয়া তুলার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি বিজেপি’র দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহা দল ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। এরপর বিভিন্ন জায়গাতে মৃদু কম্পন শুরু হয়।বিজেপিকে ভাঙার চেষ্টা করছেন দুই প্রাক্তন বিধায়ক। তবে এখন পর্যন্ত বড় চমক নেই।তবে সম্প্রতি কংগ্রেস বিজেপি’র বিরুদ্ধে একটা ওয়েব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলে পর পাল্টা ওয়েব তৈরি হবে বিজেপি’র দিকে।
২০১৮-সালে রাজ্যে বিজেপি এসেছিলো কংগ্রেসের ভোটে। দলের সিংহ-ভাগ ভোট ছিলো কংগ্রেসের।স্বাভাবিক কারণেই রাজ্যের অবাম ভোটারদের একটা দুর্বলতা রয়েছে কংগ্রেসেই প্রতি। সুদীপ-আশীষরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কংগ্রেস নেতৃত্বও আড়মোড়া কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। একটু একটু করে গতি বাড়ছিল কংগ্রেসের দিকে।
ভোটের সেমিফাইনালে বিজেপি’র বড় জয়ের পর রাজ্যের অবাম রাজনীতিতে কংগ্রেসের গতি থমকে যাবে,বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তার অন্যতম কারণ পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি। পাঞ্জাবে ক্ষমতায় থেকেও সিংহাসন ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশে সুপার ফ্লপ।স্বাধীনতার উত্তর প্রদেশে এতো খারাপ রেজাল্ট করেনি কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি ছিলো কংগ্রেসের দুর্গ।কিন্তু যোগীর ঝরে রায়বরেলিতে তছনছ হয়ে যায় কংগ্রেসের দাপট।
রাজ্যের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আশা ছিলো, পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস ভালো রেজাল্ট করে ঘুরে দাঁড়াবে।কিন্তু তা হলো না।বরং কংগ্রেস নিজেদের হাতে থাকা রাজ্য পাঞ্জাব ধরে রাখতে পারলো না।বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে এলো আম আদমি পার্টি। এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যে বিজেপি’র যে সমস্ত নেতা-কর্মী-সমর্থকরা(কংগ্রেস ঘরানার) কংগ্রেসে ফেরার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলো তারা এখন থমকে যাবে।
রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের প্রভাব রাজ্যে খুব একটা পড়বে না।ত্রিপুরার প্রেক্ষাপট আলাদা।এখানে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আস্থা নেই মানুষের।তার প্রমান পাওয়া গিয়েছিলো পুর ও নগর ভোটে।স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ভেঙে পড়তে নারাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *